চট্টগ্রাম–১০ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু গতকাল নির্বাচন কমিশনে তার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্রের সাথে যে হলফনামা জমা দিয়েছেন তা বিশ্লেষণে দেখা যায়, তার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৬ কোটি টাকা।
হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেন, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে তার নামে ২ কোটি ৮২ লাখ ২২ হাজার ৬০৬ টাকার ঋণ রয়েছে। হলফনামায় তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতায় নিজেকে স্বশিক্ষিত বলে উল্লেখ করেছেন।
হলফনামায় মহিউদ্দিন বাচ্চুর নগদ টাকা দেখানো হয়েছে মাত্র ৬ লাখ ৬৬ হাজার ২৪৫ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তার কোনো টাকা জমা না দেখালেও স্ত্রীর নামে ব্যাংকে জমা দেখানো হয়েছে ৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এঙচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন তিনটি কোম্পানিতে তার নামে শেয়ারে বিনিয়োগ আছে ১ কোটি টাকা এবং স্ত্রীর নামে ২টি কোম্পানিতে শেয়ারে বিনিয়োগ রয়েছে ৮ লাখ টাকা। তার দুটি গাড়ি বাবদ সম্পদ দেখানো হয়েছে ৯০ লাখ টাকা। তবে নিজের নামে কোনো স্বর্ণালঙ্কার না দেখালেও স্ত্রীর নামে সাড়ে ৩ লাখ টাকার ৩০ তোলা স্বর্ণাংলকার দেখানো হয়েছে।
হলফনামায় স্থাবর সম্পদের মধ্যে মহিউদ্দিন বাচ্চুর নিজের নামে ৩ কোটি ৫০ লাখ ৬১ হাজার ৫শ টাকার অকৃষি জমি রয়েছে। স্ত্রীর নামে ২৩ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এছাড়া বাচ্চুর পেশা উল্লেখ করা হয়েছে ব্যবসা। ব্যবসা থেকে বছরে আয় ১৭ লাখ ৪৩ হাজার ৫২৫ টাকা। নির্ভরশীলদের আয়ও ৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।
মহিউদ্দিন বাচ্চুর বাসায় ৩০ হাজার টাকার টিভি, ফ্রিজ ও অন্যান্য সামগ্রী ছাড়াও স্ত্রীর নামে ১ লাখ টাকার আসবাবপত্র এবং বাচ্চুর নিজের নামে ৬০ হাজার টাকার আসবাবপত্র দেখানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই বলে উল্লেখ করেছেন।












