সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ হাসান বলেছেন, বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসের সঙ্গে মিশে আছে নিজস্ব খাদ্যাভাস, যার একটি স্বতন্ত্র অনুষঙ্গ পিঠা-পুলি। শুধু খাবার হিসেবে নয়, লোকজ ঐতিহ্য এবং বাঙালি নারীদের শিল্প নৈপুণ্যের স্মারকও বলা যায় পিঠা-পুলিকে। গতকাল বুধবার এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়াম হলে জাতীয় পিঠা উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকায় ১২ বছর ধরে উৎসবটি অনুষ্ঠিত হয়ে এলেও চট্টগ্রামে এবারই প্রথম। গত মঙ্গলবার শুরু হওয়া এই উৎসবটি চলবে আগামী শনিবার পর্যন্ত। ৫ দিনব্যাপী এই উৎসবের আয়োজন করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গত দুই দিন প্রাণের টানে ছুটে আসা দর্শনার্থীদের অংশগ্রহণে মুখরিত হয়ে ওঠেছে উৎসবস্থল। নানা অঞ্চলের বৈচিত্রময় পিঠার পসরা সাজিয়ে মনোযোগ কেড়েছে উৎসবে অংশ নেয়া স্টলগুলো। গতকাল বিকেল চারটায় উৎসবটি উদ্বোধন করেন কে এম খালিদ। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, সাবেক মেয়র ও চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন এবং জাতীয় পিঠা উৎসবের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব মো. শাহআলম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক নাট্যজন ম. হামিদ।
উদ্বোধনী পর্বে পিঠা উৎসবকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ায় প্রশংসা করেন কে এম খালিদ। আগামীতে সব জেলায় সরকার পিঠা উৎসব করবে বলে জানান তিনি। এ সময় পিঠা উৎসব আয়োজনে সিটি কর্পোরেশন থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়ার আশ্বাস দেন রেজাউল করিম। আ জ ম নাছির বলেন, ধারাবাহিকভাবে আয়োজনটি চালু রাখা গেলে প্রতিবছর নির্দিষ্ট সময়ে প্রশিক্ষণ মাঠটি ছেড়ে দেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পিঠা উৎসব, চট্টগ্রাম আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক আহমেদ ইকবাল হায়দার ও সদস্য সচিব সাইফুল আলম বাবু। অনুষ্ঠান শেষে অরিন্দম নাট্য সম্প্রদায়ের ৪৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
উল্লেখ্য, প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে। এছাড়া উৎসবে রয়েছে নিয়মিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। চট্টগ্রাম বেতার ও টেলিভিশনের শিল্পীরা এতে অংশ নেবেন।