রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকের বাঘাইহাটে আঞ্চলিক দল ও গ্রামবাসীর সংঘর্ষের মধ্যে শান্তি পরিবহনের হেলপার মো. নাঈম নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার সংঘটিত এ ঘটনার পরদিন বুধবার ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয়–সদস্য সচিব চাকমাসহ সহযোগী সংগঠনের ১৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় ইউপিডিএফ নেতাদের আসামি করার ঘটনাকে ষড়যন্ত্র দাবি করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। গতকাল শুক্রবার সকালে ‘সাজেক গণঅধিকার পরিষদের’ ব্যানারে সাজেকে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইউপিডিএফ।
শুক্রবার বিকেলে গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে ইউপিডিএফ রাঙামাটি ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা বলেন, বিএনপি জমানার জজ মিঞা নাটকের মতো মো. নাঈম এর খুনীদের রক্ষার জন্য ইউপিডিএফ নেতাদের নামে মামলা দিয়ে বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা হাসির নাটক মঞ্চস্থ করা হয়েছে। ইউপিডিএফ সংগঠক সচল চাকমা দাবি করেন, সাজেকবাসীর ব্যাপক গণপ্রতিরোধের মুখে সন্ত্রাসী ঠ্যাঙাড়ের বাহিনীদের বাঘাইহাট থেকে সরিয়ে নেয়া হলেও তাদের গ্রেপ্তার না করে উল্টো নিরীহ ব্যক্তিকে এই খুনের সঙ্গে জড়িত করে মামলা দেয়া দেশের আইনের প্রতি চরম অশ্রদ্ধা প্রদর্শনের শামিল এবং ক্ষমতার নির্জলা অপব্যহার। প্রশাসনের এ ধরনের আচরণ অনভিপ্রেত ও অগ্রহণযোগ্য। বিবৃতিতে তিনি মামলা থেকে ইউপিডিএফ নেতাদের প্রত্যাহার ও পরিবহন শ্রমিক মো. নাঈমের খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (১৮ জুন) সাজেকের বাঘাইহাট বাজারে আঞ্চলিক দল ও গ্রামবাসীর সংঘর্ষে শান্তি পরিবহনের হেলপার মো. নাঈম গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান। এ ঘটনার পরদিন বুধবার সাজেক থানায় ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয়–সদস্য সচিব চাকমাসহ সহযোগী সংগঠনের ১৫ নেতার নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন নাঈমের চাচা মো. বাবুল ইসলাম। গুলিতে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইউপিডিএফ ও জনসংহতি সমিতি (এমএম লারমা) পরস্পরকে দোষারোপ করে আসছে।