সন্দ্বীপের মগধরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম আনোয়ার হোসেন। বেড়িবাঁধের কাছে প্রায় ছয়শ শতক জমিতে বাণিজ্যিক উদ্দেশে গড়ে তুলেছেন একটি বাগান। প্রায় তিন বছর আগে শুরু করেছিলেন এ বাগানের কাজ। ধীরে ধীরে বাগানটিকে ফুল পাখি ও বন্যপ্রাণী দিয়ে সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে চান একটি বিনোদন পার্ক।
বাগানের মালিক আনোয়ার চেয়ারম্যান আজাদীকে জানিয়েছেন, মূলত করোনাকালীন মানুষজন যখন ঘরবন্দী হয়ে পড়ে তখন তিনি নেমে পড়লেন ফল সবজি চাষাবাদের কাজে। এছাড়া ফরমালিন ও ভেজালমুক্ত ফল যাতে বাজারজাত করা যায় সেজন্য এ উদ্যোগ বলে তিনি জানান। তার বাগানে প্রায় ১১৮ প্রজাতির ফল গাছ রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে ৮ প্রজাতির ২৫০ এর অধিক কবুতর। যেগুলোর কোনো কোনোটির জোড়া ১২ থেকে ২৫ হাজার টাকা। ফল গাছের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির আম গাছ, ড্রাগন ফল, এলাচ, নারকেল পেয়ারা গাছসহ অন্যান্য ফলের গাছ।
শুরুতে উপযুক্ত মাটির যোগান দিতে না পারায় ফল গাছগুলো আশানুরূপ বেড়ে ওঠেনি। লবণাক্ত মাটি হওয়ায় এ ভোগান্তিতে পড়তে হয় বলে জানান বাগানের তত্ত্বাবধায়ক বাবুল। পরবর্তীতে উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় মাটির লবণাক্ত দূর করা হয়। এখানে লাগানো বেশিরভাগ ফল গাছ বরিশাল থেকে নিয়ে আসা।
ফল চাষাবাদের পাশাপাশি এখানে সীমিত পরিসরে বিভিন্ন প্রজাতির হরিণ, ময়ূরসহ বন্যপ্রাণীও সংগ্রহ করে পরিপালন করা হবে বলে জানান এস এম আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, যেহেতু আমাদের সন্দ্বীপে কোনো ধরনের বিনোদন কেন্দ্র নেই সেজন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি ফল বাগানের পাশাপাশি এখানে কিছু কিছু বন্যপ্রাণীও রাখা হবে। যাতে মানুষজন বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম এখানে এসে আনন্দ উপভোগের পাশাপাশি বিনোদন লাভ করতে পারে।
দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে এ বাগানবাড়ি। প্রতিদিনই সন্দ্বীপের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এটি দেখতে আসেন অনেকে। ফসিউল আলম ফসি ও খোদাবক্স সাইফুল নামের দুই দর্শনার্থী আজাদীকে জানান, সন্দ্বীপে এ ধরনের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক। এ বাগানের উদ্যোক্তা আনোয়ার চেয়ারম্যানের অনুসরণে আমাদেরও সামাজিক কৃষিতে এগিয়ে আসা উচিত। এতে একদিকে আমরা যেমন স্বাবলম্বী হতে পারব অন্যদিকে খাদ্যে ভেজালমুক্ত থাকাও যাবে।