সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে অংশীদারিত্বে রূপান্তরের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। এছাড়া অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের জন্য কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সিইপিএ) স্বাক্ষর ও জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল (জেবিসি) সক্রিয় করার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে ইউএইর আল আ ইন শহরে তার রাজকীয় প্রাসাদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। খবর বাসসের।
বৈঠকের শুরুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণপত্রটি ইউএইর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নিকট হস্তান্তর করেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাত দুই জাতির প্রতিষ্ঠাতা পিতাদের প্রতিষ্ঠিত দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের ঐতিহাসিক বন্ধনের কথা স্মরণ এবং গত পাঁচ দশকে ইউএইর অভূতপূর্ব অগ্রগতির জন্য সেদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অসামান্য অর্জনগুলোও তুলে ধরেন।
উভয় মন্ত্রী বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়গুলো পর্যালোচনাকালে জ্বালানি নিরাপত্তা, খাদ্য নিরাপত্তা, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ, দ্বি–পাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ নতুন উদীয়মান ক্ষেত্র অন্বেষণের ওপর জোর দেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে ইউএইর বিনিয়োগ বৃদ্ধিকল্পে মাতারবাড়ি এঙক্লুসিভ ইকনোমিক জোন, বন্দর ও লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা, চট্টগ্রামে হাছান মাহমুদের নিজ এলাকা রাঙ্গুনিয়ায় আধুনিক ইউএইর প্রতিষ্ঠাতা শেখ জায়েদ ইবনে সুলতান আল নাহিয়ানকে উপহার দেওয়া জমির উন্নয়নে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার এবং ব্যবসায়ীদের জন্য সম্ভাব্য বিনিয়োগ প্রস্তাব তুলে ধরেন। ইউএইর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এর সমর্থনে চলমান বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক বিষয়গুলোকে এগিয়ে নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৈঠকে দুই নেতা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এবং গাজা যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগসহ নানা আঞ্চলিক বিষয়ে মতবিনিময় করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউএইতে স্নাতক নার্স, কেয়ারগিভার, স্বাস্থ্যসেবা টেকনিশিয়ান, কৃষিবিদ, কৃষক ও বিভিন্ন পেশাজীবীসহ সকল ট্রেডে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা পদ্ধতি সহজ করা এবং এক নিয়োগকর্তার কাছ থেকে অন্য নিয়োগকর্তার কাছে ওয়ার্ক পারমিট স্থানান্তর সহজ করার অনুরোধ জানান। ইউএইর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এতে ইতিবাচক সাড়া দেন।