বাংলাদেশের সব মানুষের মত খুশি লিটনও

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার , ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ১১:১০ পূর্বাহ্ণ

লিটন দাসের ব্যাট হাসছে না একটুও। দলের জন্য যথাযথ অবদান রাখতে পারছেননা। কিন্তু তার মুখে হাসি লেগেই আছে। মাঠে তার অধিনায়কত্ব হচ্ছে প্রায় নিখুঁত। বোলাররা বারবার হাসি ফোটাচ্ছেন তার মুখে। টানা দুই জয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করার পর চওড়া হাসি নিয়েই অধিনায়ক বললেন, দলের এই অর্জনে বাংলাদেশের সবাই উচ্ছ্বসিত। আর তাদের সাথে আমিও দারুন খুশি। ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশড হওয়ার পর টিটোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশকে নিয়ে শঙ্কার জায়গা ছিল আরও বেশি। এই সংস্করণে তারা বরাবরই অধারাবাহিক। এটিই আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের শক্তির জায়গা। তবে মাঠের ক্রিকেটে সেই শঙ্কাগুলোকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। টানা দুই ম্যাচে বোলারদের অসাধারণ পারফরম্যান্সে সিরিজ জয় ধরা দিয়েছে এক ম্যাচ বাকি রেখেই। দ্বিতীয় ম্যাচ শেষে সেই উচ্ছ্বাসই ফুটে উঠল লিটন দাসের কণ্ঠে। তিনি বলেন আমি খুবই খুশি। শুধু আমি নই, বাংলাদেশের সব মানুষই খুশি। এরকম একটি জয়ের আশায় ছিলাম আমরা সবাই ।

প্রথম ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৪৭ রান করে ৭ রানে জিতেছিলেন লিটনরা। এই ম্যাচেও টস হেরে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নামে। এবার দল আটকে যায় ১২৯ রানে। তবে এই রান যে জয়ের জন্য যথেষ্ট, তা ব্যাটিংয়ের সময়ই বুঝে গিয়েছিলেন লিটন। টার্ন ও গ্রিপ ছিল শুরু থেকেই। বল ব্যাটে আসেনি ভালোভাবে। এক পর্যায়ে বাংলাদেশও শঙ্কায় ছিল একশ করা নিয়ে। তবে শামীম হোসেনের ১৭ বলে ৩৫ রানের ইনিংস দলকে নিয়ে যায় লড়িয়ে সংগ্রহে। দুই ম্যাচেই গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস উপহার দেওয়া ব্যাটসম্যানের কথা উল্লেখ করতে ভুললেন না অধিনায়ক। বোলারদেরকে কৃতিত্ব তো দিতে হবেই। প্রথম বলটি যখন খেলেছি, তখনই বুঝেছিলাম যে, এই উইকেটে ব্যাট করা কঠিন। শামীমকে ধন্যবাদ, সে খুবই ভালো ব্যাট করেছে। বোলারদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। আমরা যখনই উইকেট নেই আক্রমণে যেই আসুক, উইকেট এনে দিয়েছে। সবটুকুই দলীয় প্রচেষ্টার ফসল। সিরিজ জিতলেও তৃপ্ত না হয়ে এই পারফরম্যান্স শেষ ম্যাচে বয়ে নিতে চান লিটন। আমরা এখন ভালো প্রবাহে আছি। পরের ম্যাচে আবার মাঠে নেমে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে আমাদের। আগামীকাল শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় শুরু শেষ ম্যাচ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএনসিএল টি-টোয়েন্টিতে আবার হারল চট্টগ্রাম
পরবর্তী নিবন্ধআর্মি স্টেডিয়ামে বরাদ্দ বাতিল, অনিশ্চয়তায় ফোক ফেস্ট