নির্বাচনি ইশতেহারে নিকট প্রতিবেশীদের ‘বেশি গুরুত্ব’ দিয়ে পররাষ্ট্র নীতি সাজানোর যে ঘোষণা ভারতীয় কংগ্রেস দিয়েছে, তাতে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের বার্তা দিয়েছে দলটি। গতকাল শুক্রবার দিল্লির আকবর রোডের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনি ইশতেহার প্রকাশ করে দলটি। কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, জ্যেষ্ঠ নেতা সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, কে সি ভেনুগোপাল, পি চিদাম্বরমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা ইশতেহার প্রকাশ করেন। এতে বলা হয়, ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদার করব আমরা, যে দুটি দেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে জনবহুল। খবর বিডিনিউজের।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর সঙ্গে কী নীতি নেওয়া হবে, সেটিও ইশতেহারের ‘পররাষ্ট্র নীতি’ অংশ তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, আমাদের নিকট প্রতিবেশীদের দিকে অধিক মনোযোগ দেবে কংগ্রেস। আমরা নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে আমাদের বিশেষ সম্পর্কের শ্রেষ্ঠত্বকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করব এবং পারস্পরিক উপকারের জন্য সেই সম্পর্ককে শক্তিশালী করব।
কংগ্রেস বলছে, দুদেশের মধ্যে রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুনর্র্নিমাণে আমরা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে কাজ করব এবং রাজনৈতিক বিষয়গুলোর সমাধানে শ্রীলঙ্কাকে সহায়তা করব, বিশেষ করে তামিলদের সঙ্গে। মালদ্বীপের সঙ্গে সম্পর্ক ‘মেরামতের’ কথা ইশতেহারে বলা হয়। নির্বাচিত হলে মিয়ানমারের জনগণের ‘রাজনৈতিক ও মানবাধিকার সুরক্ষায়’ দেশটির সঙ্গে কাজ করা কথা বলেছে ভারতের প্রধান বিরোধী দল। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে ইশতেহারে বলা হয়, ভারতের সঙ্গে আলাপ–আলোচনা মূলত নির্ভর করছে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করতে তাদের ইচ্ছা ও সক্ষমতার উপর। চীন সীমান্তে স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে কাজ করার কথাও বলেছে কংগ্রেস। নিজস্ব পরিকল্পনার কথা বললেও ভারতের বর্তমান পররাষ্ট্র নীতিকে ‘চলমান’ রাখার কথাই ঘোষণা করা হয়েছে। তবে কংগ্রেস বলছে, স্বাধীনতার পর থেকে পররাষ্ট্র নীতির বিষয়ে ‘মতৈক্য’ থাকলেও বিজেপির শাসনামলে সেটার ‘স্খলন’ হয়েছে। বিশেষ করে গাজার চলমান সংঘাতে। বৈশ্বিক বিষয়াবলিতে শান্তি ও উদারতার কণ্ঠস্বর হিসাবে ভারতের সুনাম আবার ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে কংগ্রেস।
ভারতের নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। ফলাফল ঘোষণা হবে ৪ জুন।