পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) শেষেও পাকিস্তানেই থেকে যাবেন মেহেদী হাসান মিরাজ। লাহোর কালান্দার্সের হয়ে খেলতে যাওয়া অলরাউন্ডার ডাক পেয়েছেন বাংলাদেশের টি–টোয়েন্টি দলে। ইনজুরির কারণে ছিটকে পড়া সৌম্য সরকারের বদলে দলে জায়গা ফিরে পেয়েছেন তিনি। পিঠের ব্যথার কারণে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজের কোনো ম্যাচ খেলতে না পারা সৌম্য দুবাই থেকে ফিরে আসবেন দেশে। আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচ শুরুর আগে গত বুধবার বিসিবি জানায়, এক সপ্তাহ ধরে পিঠের ব্যথায় ভুগছেন সৌম্য। পিঠের ডান দিকের নিচের অংশের এই ব্যথা প্রত্যাশার চেয়ে ধীরগতিতে সারছে বলে তখন উল্লেখ করা হয়েছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার বিসিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ দলের ফিজিও বায়জেদুল ইসলাম খান জানান, সৌম্যর পুনবার্সন প্রক্রিয়ায় আরও ১০ থেকে ১২ দিন সময় লাগতে পারে। সৌম্যর ইনজুরির কারণে দলে ফেরার দুয়ার খুলে গেল মিরাজের জন্য। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের বদলে একজন স্পিনিং অলরাউন্ডারকে দলে নেওয়ার কারণ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানালেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন।
এখন আমাদের দুজন ওপেনারই ভালো ফর্মে আছে। এছাড়া অনাকাঙ্খিত কিছু হলে শান্তও আছে ব্যাক–আপ দেওয়ার জন্য। পাকিস্তানের স্কোয়াড দেখার পর তাদের দলে মোট ৫ জন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান আছে। তিন জন অলরাউন্ডার, দুই জন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। সেটা চিন্তা করে একজন বাড়তি অফ স্পিনার যুক্ত করেছি আমরা। আমাদের মিডল অর্ডারও কিছুটা অধারাবাহিক। তাই আমাদের মনে হয়েছে, মিরাজ ভালো বিকল্প হতে পারে। সম্ভাব্য সবচেয়ে যথাযথ বিকল্প। আমাদের হাতে তো বিকল্প অনেক কম। তাই আমাদের মনে হয়েছে, টপ অর্ডারের কাউকে না পাঠিয়ে, এই জায়গার (মিডল অর্ডার) জন্য কাউকে পাঠালে, দলের যে ঘাটতি আছে, সেটা পূরণ করার সক্ষমতাও থাকবে। আর সে এখন সাদা বলের ক্রিকেটেই আছে। পাকিস্তানে গেছে পিএসএল খেলতে। সেটি আমাদের জন্য বাড়তি একটা পাওয়া হতে পারে।
মিরাজ বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন ২৯ টি–টোয়েন্টি। অন্য দুই সংস্করণে তিনি দলের অপরিহার্য অংশ হলেও বিশ ওভারের ক্রিকেটে সেভাবে জায়গা থিতু করতে পারেননি। সবশেষ খেলেছেন তিনি গত ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে। ওই সিরিজে দুই ম্যাচে চার নম্বরে নেমে ২৫ বলে ২৬ ও ২৩ বলে ২৯ রান করেন। উইকেট পাননি। এরপর জায়গা হারান দলে। এবার তার সামনে আরেকটি সুযোগ এই সংস্করণে কার্যকারিতা দেখানোর। জাতীয় দলে খুব ভালো না করলেও গত বিপিএলে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যান অব দা টুর্নামেন্ট হয়েছিলেন তিনি।