দ্বিতীয় দিনের শেষ দিকে ইনিংসের ঘোষণা দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশ ব্যাট করে ৪০ মিনিটের চেয়ে একটু বেশি। কিন্তু ৯ ওভার খেলেই তারা হারিয়ে ফেলেছে ৪ উইকেট। প্রায় দুই দিন ফিল্ডিং করার পর তারা সুবিধা করতে পারেনি ব্যাট হাতে। যে উইকেটে ৬ উইকেট হারিয়ে ৫৭৫ রান করেছে, বাংলাদেশ সেখানে ৩৮ রান তুলতেই হারিয়েছে চার উইকেট। স্বাগতিকদের এমন ব্যাটিং দেখে কি কিছুটা অবাকই হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা? উত্তরে দলটির প্রতিনিধি হিসেবে আসা টনি ডি জর্জি জানিয়েছেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ক্লান্ত থাকার সুযোগ নিয়েছেন তারা। তিনি বলেন, ‘আপনার লাইন–আপে যখন রাবাদা থাকবে, আপনার পক্ষে যেকোনো কিছুই হতে পারে। আমরা খুবই ভাগ্যবান তাকে পেয়ে। পিটারসন কিছুটা নিয়মানুবর্তিতা দেখিয়েছে আর উইকেটও পেয়েছে। আমাদের জন্য ব্যাপারটা ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ক্লান্ত থাকার সুবিধাটা নেওয়া।’ ‘যদি আমি ওই পরিস্থিতিতে ওপেনার হিসেবে যেতে পারতাম, তখন যাওয়া ও ব্যাট করা খুব ভালো কোনো কিছু হতো না। ক্লান্ত শরীর ও মনে যেকোনো কিছুই হতে পারে। আমরা কেবল ঠিক সময়ে ঠিক জায়গায় ছিলাম আর ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে এক ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেছেন তিন ব্যাটার। এর মধ্যে ওপেনার জর্জি ২৬৯ বল খেলে ১৭৭ রান করেন। প্রায় দেড়দিন ব্যাটিং করেছেন তিনি। চট্টগ্রামে এমন গরমের ভেতর কীভাবে এতক্ষণ ব্যাট করলেন জর্জি? তিনি বলেন, ‘আমি বলবো বেশির ভাগটাই মানসিক ব্যাপার। যখন একবার আপনি উইকেটে আসেন, এটা আপনার সিদ্ধান্ত নেওয়া ও মনোযোগ ধরে রাখার ব্যাপার। আর গেম প্ল্যানে অটল থাকা। আপনার দেখতে হবে এই উইকেটে কোন জিনিসটা কাজে লাগছে। বাইরের কিছু করার দরকার নাই, কারণ এই ফরম্যাটে সেটা দরকারও হয় না। এজন্য এটা একশ ভাগ মানসিক ও শারীরিকও।’