বাংলাদেশে ধর্মীয় ভেদাভেদ নেই

পতেঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানে চসিক প্রশাসক তোফায়েল ইসলাম

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৪ অক্টোবর, ২০২৪ at ৭:৫৭ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশে ধর্মীয় ভেদাভেদ নেই বিধায় সব ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে ধর্মচর্চা করতে পারছেন বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম। তিনি গতকাল রোববার বিকালে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

চসিক প্রশাসক বলেন, বাংলাদেশ শান্তিময় সমপ্রীতির জনপদ। এখানে প্রত্যেক ধর্মাবলম্বী মানুষের ধর্মাচরণ পালনের অধিকার আছে। এ দেশে ধর্মীয় ভেদাভেদ নেই। ধর্ম নির্বিশেষে সবাই ধর্মীয় উৎসব উদযাপন করেন। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রকৃত ধার্মিক ও মানবিক মানুষের সুদৃঢ় ঐক্যে শান্তির বাংলাদেশ গড়তে হবে। আমাদের সমপ্রীতি অক্ষুণ্ন রাখতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। বিগত বছরগুলোর ন্যায় এবারও শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন উপলক্ষে পূজা মণ্ডপে পরিচ্ছন্নতা, আলোকায়ন, পানীয়জলের ব্যবস্থা এবং পূজার্থীদের নিরাপত্তাসহ পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিমা নিরঞ্জনের আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক অর্পণ কান্তি ব্যানার্জির সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নিখিল চন্দ্র নাথের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমি, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন, সাবেক কাউন্সিলর ডা. মোহাম্মদ নুরুল আবসার, নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী অনিক দাশগুপ্ত, মোহাইমিনুল ইসলাম, এনামুল হক, উপসহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রম্মচারী, এডভোকেট চন্দন কুমার তালুকদার, রত্নাকর দাশ টুনু, অরুপ রতন চক্রবর্তী, প্রদীপ শীল, বিপ্লব কুমার চৌধুরী, এডভোকেট নটু চৌধুরী, বিপ্লব সেন, সুকান্ত মহাজন টুটুল, অঞ্জন দত্ত, প্রিয়তোষ ঘোষ রতন, স্টালিন দে, রিপন রায় চৌধুরী, এড. রাজেশ বিশ্বাস, অধ্যাপক অসীম কুমার দে, রাজন রায়, বিশ্বজিৎ রায়, অমিত ঘোষ, দোলন দেব, প্রিয়তোষ বল, বিবেক দেব, কুশন সেন, অয়ন ধর, বাপ্পী দে, এডভোকেট শ্যামল চৌধুরী, সৈকত মহাজন সাজু, সুজন কুমার শীল, উত্তম মহাজন নব, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি আশুতোষ দাশ, বিপ্লব চৌধুরী বিলু। অনুষ্ঠানে গীতা পাঠ করেন স্বতন্ত্র গৌরাঙ্গ দাস। অনুষ্ঠান শেষে নগরীর প্রতিটি মণ্ডপের প্র্রতিমা সৈকতে বিসর্জন দেয়া হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপলিব্যাগ নিষিদ্ধের দাবিতে ১ টাকায় বৃক্ষরোপণের মানববন্ধন
পরবর্তী নিবন্ধবোয়ালখালীতে আহত ঈগল উদ্ধার, চিকিৎসা শেষে অবমুক্ত