মেয়েদের সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে এ ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ফাইনালে ওঠার পথে ভারতকে একমাত্র হারের তেতো স্বাদ দিয়েছিল বাংলাদেশ। রাউন্ড রবিন লিগে বাংলাদেশের কাছে এই হেরে যাওয়া ম্যাচে এক গোল হজম করে ভারত। পাঁচ দলের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশই এ পর্যন্ত কোনো গোল হজম করেনি। গোলও দিয়েছে সবচেয়ে বেশি; ১৯টি। ভারত ৯ গোল দিয়ে হজম করেছে একটি। সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে বাংলাদেশের শাহেদা আক্তার রিপা। তিনি গোল করেছেন ৫টি। ৪ গোল নিয়ে এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ভারতের ফরোয়ার্ড প্রিয়াঙ্কা দেবী। শিরোপা লড়াইকে সামনে রেখে বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন সাবধানী। ভারতকে মোটেও ছোট ভাবছেন না তিনি। জোর দিচ্ছেন সুযোগ কাজে লাগানোর দিকে। ফাইনালের আগের দিন বাংলাদেশ কোচ ছোটন বলেন, ‘এই টুর্নামেন্ট শুরুর আগে বলেছিলাম আমাদের লক্ষ্য ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলা। প্রতি ম্যাচে দরকার জয়। দর্শকদের ভালো খেলা উপহার দেওয়া। মেয়েরা ভালো ফুটবল খেলেছে। সঠিকভাবে কাজ করে ফাইনালে উঠেছে। এখন একটা ম্যাচ বাকি। আশা করি, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হবে। মেয়েরা ম্যাচ বাই ম্যাচ যে ফুটবল খেলে এসেছে, সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। মেয়েরা প্রতি ম্যাচে সাধ্যমতো ভালো খেলেছে। ফাইনালের প্রতিপক্ষ ভারত। জানি, তারা শক্তিশালী। তবে আমারও বিশ্বাস আছে মেয়েরা ভালো করবে এবং কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে।’ ভারত কঠিন প্রতিপক্ষ। তাদের বিপক্ষে ফিনিশিংয়ে ভালো করতে হবে। আত্মবিশ্বাসের অভাব নেই। ভারত প্রতিটি ম্যাচ ভালো খেলে এখানে এসেছে। যদিও ওদের বিপক্ষে রাউন্ড রবিন লিগে জিতেছি, কিন্তু ওরা ভালো প্রতিপক্ষ। এটা ফাইনাল। দুই দল সুযোগ পাবে। আমরা উন্নতি করব, ক্লিনিক্যাল ফিনিশ করার চেষ্টা করব। মেয়েরা প্রতিটা ম্যাচে সর্বোচ্চটা দিয়ে খেলেছে। কাল ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে আরও ভালো পারফরম্যান্স করতে হবে।’ আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে বাংলাদেশ অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা জানান ভারতকে আবারও হারানোর আশাবাদ। ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল ম্যাচ বাই ম্যাচ ভালো খেলা। সেভাবে খেলেই জিতেছি। আমরা প্রতিটি ম্যাচেই ভালো খেলা উপহার দিয়েছি। অন্য দল থেকে এগিয়ে থেকেছি। কাল আমাদের ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ। আগের ম্যাচগুলোতে যে ভুল-ত্রুটি করেছি, সেটা শুধরে ফাইনালে লড়াই করব। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ব।’