দীর্ঘ সাত বছর পর বাংলাদেশ সফরে এসেছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। এই সফরে বিরাট কোহলিরা তিনটি ওয়ানডে এবং দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে। আজ শুরু হচ্ছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচটি। গত মাসে শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ এবং ভারত দু’দলই। বাংলাদেশ কেবল দুটি ম্যাচ জিতে ফিরেছে। ভারত সেমিফাইনালে হেরেছিল ইংল্যান্ডের কাছে। বিশ্বকাপের পর ভারত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে। তবে বাংলাদেশ দল বিশ্বকাপের পর প্রথম কোন দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে নামছে।
আর সিরিজ শুরুর আগেই বাংলাদেশ হারিয়েছে তাদের অধিনায়ক তামিম ইকবালকে। ইনজুরির কারনে পুরো সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন তিন। তার জায়গায় অধিনায়ক করা হয়েছে লিটন দাশকে। খেলতে পারছেন না পেসার তাসকিন আহমেদও। তাই কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে নামার আগে ধাক্কা খেতে হলো টাইগারদের।
এমনিতেই শক্তি, সামর্থ্য, আর পরিসংখ্যানে অনেক এগিয়ে ভারত। দলে রয়েছে বিশ্ব সেরা সব ব্যাটার এবং বোলার। তাই বাংলাদেশ যে সহজে পার পাবেনা সেটা সহজেই অনুমেয়। এমনতে পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে আশাবাদি হওয়ার মত কিছু নাই। কাল দু’দলের ৩৬ মোকাবিলায় বাংলাদেশের জয় মাত্র ৫টি। হেরেছে ৩০ ম্যাচে।
ভারতীয় দলে রয়েছে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, কে এল রাহুলদের মত ব্যাটার। বাকিরা যারা রয়েছে তারাও বিশ্ব মানের। ভারতের বোলিং লাইনও বেশ শক্তিশালী। অপরদিকে বাংলাদেশ দলে নেই অধিনায়ক তামিম ইকবাল। দলের বিশ্বসেরা অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসানও নেই ভালো ফর্মে। সমপ্রতি আবুধাবিতে টি-টেন ক্রিকেটে সুবিধা করতে পারেননি সাকিব মোটেও। শেষ ম্যাচেতো এক ওভারে পাঁচটি চক্কা খেয়েছেন। যদি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ঘরের মাঠে বিসিএল খেলে কিছুটা হলেও নিজেদের তৈরি করেছেন লিটন-রাব্বিরা।
কিন্তু ভারতের মত প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সেটা কতটা কাজ দেবে সে প্রশ্ন থেকেই যায়। তারপরও বাংলাদেশের লক্ষ্য অন্য কিছু না ভেবে কেবল প্রতিটা ম্যাচের দিকেই নজর দেওয়া। বাংলাদেশ দল চাইছে প্রতিটা ম্যচ ধরে এগিয়ে যেতে। সিরিজ কি হবে সে ভাবনা আপাতত করছেনা স্বাগতিকরা। প্রতিপক্ষ কঠিন হোক আর শক্ত বাংলাদেশের লক্ষ্য নিজেদের সেরাটা দিয়ে খেলা। আর সেটা পারলে বারতে বিপক্ষে জেতাটা মোটেও কঠিন হবে বলে মনে করছেনা বাংলাদেশ শিবির।