করোনাকালে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আসর বসতে যাচ্ছে চট্টগ্রামে। আগামীকাল বাংলাদেশ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ দিয়ে দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় পর চট্টগ্রামের জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আবার বসতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আসর। সবশেষ ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর বাংলাদেশ এবং জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল এ স্টেডিয়ামে। এই মাঠে সবশেষ টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর। সে ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হেরেছিল বাংলাদেশ। আর সবশেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হয়েছিল ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর। দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় পর আবার সরব হচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের লাকি গ্রাউন্ড জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম। আগামীকাল বাংলাদেশ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে এই মাঠে। এরপর ৩ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দু’দলের মধ্যকার দুই টেস্টের সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচটি।
এদিকে চট্টগ্রামে দুই ম্যাচের সিরিজের জন্য গতকালই বাংলাদেশ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল বন্দর নগরীতে এসে পৌঁছেছে। বিমান বন্দর থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দু’দলের খেলোয়াড় কর্মকর্তাদের নিয়ে আসা হয় টিম হোটেল রেডিসন ব্লুতে। করোনার কারণে মিডিয়া কর্মীদেরও ক্রিকেটারদের কাছে যেতে দেওয়া হয়নি। আজ সকালে স্বাগতিক বাংলাদেশ দল এবং বিকেলে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলন করবে। ঢাকার মত চট্টগ্রামের এই দুই ম্যাচেও স্টেডিয়ামে দর্শকদের যাওয়ার কোনো সুযোগ থাকছে না। ম্যাচের সাথে যারা একেবারে প্রয়োজনীয় তারা ছাড়া বাকিদের স্টেডিয়াম এলাকায় প্রবেশাধিকার সীমিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের একটি ওয়ানডে এবং একটি টেস্ট ম্যাচ ছাড়াও সফরকারী ক্যারিবীয়রা চট্টগ্রামে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। বিসিবি একাদশের বিপক্ষে ক্যারিবীয়দের তিনদিনের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ২৯ থেকে ৩১ জানুয়ারি। আর সে জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামকেও। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল চট্টগ্রাম ত্যাগ করবে। এই কদিনে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। আগামী ২৭ জানুয়ারি চসিক নির্বাচন হিসেবে তাদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে।
এদিকে বাংলাদেশ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার একটি ওয়ানডে এবং একটি টেস্ট ম্যাচ সফল করতে পুরোপুরি প্রস্তুত জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম। দীর্ঘ বিরতির পর এই ম্যাচ দুটি আয়োজিত হওয়াতে স্টেডিয়ামের কর্মীদের মাঝেও যেন ফিরে এসেছে প্রাণচাঞ্চল্য। তারা খুশি অবশেষে এই মাঠে ক্রিকেট গড়ানোতে। এখন এই ক্রিকেট উৎসব সফল করার অপেক্ষায় সবাই। তবে হতাশা দর্শকদের মাঝে। কারণ তারা মাঠে গিয়ে প্রিয় দল এবং প্রিয় তারকাকে সমর্থন দিতে পারছে না।