রাউজান : রাউজান প্রতিনিধি জানান, রাউজান কলেজ মাঠে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাঙালির প্রাণের উৎসব ‘বাংলা নববর্ষ-১৪২৯’ উদযাপিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে নববর্ষের এই অনুষ্ঠানমালার সূচনা করা হয় বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে। এরপর পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। উদ্বোধনের পর তিনি তার বক্তব্যে বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। পহেলা বৈশাখ হচ্ছে আমাদের প্রাণের উৎসব। ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কলেজ মাঠ থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ, পৌর মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলরবৃন্দ। এছাড়া শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন বয়সী নারী পুরুষসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা।
ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি : বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে বছরের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখে পুরো জাতি মেতে ওঠে প্রাণের উৎসবে। এর ব্যতিক্রম ঘটেনি ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতেও। পবিত্র রমজান উপলক্ষে সীমিত পরিসরে নানা আয়োজনে ইডিইউ পরিবার উদযাপন করেছে নতুন বছরের আগমন। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা ও বৈশাখী মেলা। আলপনা ও রঙ-বেরঙের অরিগ্যামিতে সাজানো ক্যাম্পাসে সকাল থেকেই ছিল উৎসবের আমেজ। সকাল ১১টায় মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠানমালার। এছাড়া গান, নাচ আর আবৃত্তিসহ আরো হরেক রকমের বিচিত্র আয়োজনে সারাদিনই মেতে ছিল সবাই। ফ্যাকাল্টি ও শিক্ষার্থীরা একই মঞ্চে, একই সঙ্গে অংশ নিয়েছে নানা কার্যক্রমে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান। বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান। উপস্থিত ছিলেন স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অ্যাসোসিয়েট ডিন প্রফেসর ড. মো. নাজিম উদ্দিন, স্কুল অব বিজনেসের অ্যাসোসিয়েট ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রকিবুল কবির, স্কুল অব লিবারেল আর্টসের অ্যাসোসিয়েট ডিন মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, প্রক্টর মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
চুয়েট : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) বর্ণিল ও বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাঙালির প্রাণের উৎসব ‘বাংলা নববর্ষ-১৪২৯’ উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। র্যালিতে নেতৃত্ব দেন চুয়েটের ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ শিশু-কিশোররা অংশগ্রহণ করেন। র্যালিটি উপাচার্য ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক ও গোল চত্বর প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনে এসে শেষ হয়।
পরে প্রশাসনিক ভবনের নিচে র্যালিত্তোর এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন চুয়েট ভিসি। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. এম এক জিয়াউল হায়দার, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হারুন, স্টাফ এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জামাল উদ্দীন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ ফজলুর রহমান।
হাটহাজারী : হাটহাজারী প্রতিনিধি জানান, হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন গত বৃহস্পতিবার সাড়ম্বরে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করেছে। বর্ষবরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ছিল সকলের অংশগ্রহণে মঙ্গল শোভাযাত্রা, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কুইজ প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহিদুল আলম। অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নূরুল আলম বাশেক ও মোক্তার বেগম মুক্তা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল আলম, হাটহাজারী প্রেস ক্লাব সভাপতি কেশব কুমার বড়ুয়া। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা তাসলিমা আকতার কাকলী। এদিকে উপজেলার মির্জাপুর বৌদ্ধ প্রগতি সংঘ বাংলা নববর্ষ বরণের জন্য ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সংবর্ধনা, আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণী সভার আয়োজন করেন। স্থানীয় গৌতমাশ্রম বিহারের নান্দনিক ৬ষ্ঠ সংঘরাজ ধর্মানন্দ মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি সুব্রত বড়ুয়া বন্দন। অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন মির্জাপুর ইউপির নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আকতার হোসেন খাঁন সুমন, সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য সাজেদা ইয়াসমিন, ইউপি সদস্য হান্নান মিয়া তালুকদার সুমন, সংগঠনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও ভূমিদাতা বিজয় দর্শন বড়ুয়া, সংগঠনের প্রাক্তন সভাপতি মৃদুল কান্তি বড়ুয়া। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন মির্জাপুর গৌতমাশ্রম বিহার ও পালি কলেজের অধ্যক্ষ ধর্মসারথী ভদন্ত শাসনানন্দ মহাথের।
রাঙ্গুনিয়া : রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি জানান, বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে শোভাযাত্রাটি উপজেলা ক্যাম্পাস থেকে বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ঘুরে আবার উপজেলা ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইফতেখার ইউনুস, বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন অংশ নেয়।
বাঁশখালী : বাঁশখালী প্রতিনিধি জানান, ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা- অগ্নিস্নানে সূচি হোক ধরা’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে বাংলা নববর্ষ ১৪২৯ উদযাপন উপলক্ষে বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির শিক্ষার্থী ও শিল্পীদের নিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বাংলা নববর্ষের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির ও স্থানীয় শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু ছালেকের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উমর ফারুক, বাঁশখালী থানার ওসি মো. কামাল উদ্দিন, উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফাহাদ বিন মাহমুদ, মুক্তিযোদ্ধা আহমদ ছফা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম, সরকারি আলাওল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কাজী মোহাম্মদ সেলোমান, মনতোষ দাশ, মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, কল্যাণ বড়ুয়া, প্রকাশ বড়ুয়া প্রমুখ।
কাপাসগোলা সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়: কাপাসগোলা সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রায় শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা ব্যানার ফেস্টুন সহকারে অংশ নেন। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন। সহকারী শিক্ষিকা কুমকুম চৌধুরীর সঞ্চালনায় বিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত ও নৃত্যে অংশ নেন ছাত্রীরা। উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক মমতাজ উদ্দিন, খন্দকার মো. নজরুল করিম, সাহেদা নাসরিন খান, জামশেদ আলম, উম্মে সালমা মোসলেমা বেগম, খালেদা বেগম, রিতা সিরাজী, ফারহানা রহমান, আরাফাতুন্নেছা, তাছলিমা বেগম, শুক্লা দাশ, নাজমুন নাহার প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।