বাঁশের সাঁকোই ভরসা স্থায়ী সেতুর দাবি

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি | শনিবার , ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৭:৫১ পূর্বাহ্ণ

রাঙ্গুনিয়া উপজেলার গোচরা বাজারের সাথে জেলেপল্লীর বাসিন্দাদের বিভক্ত করে রেখেছে বয়ে যাওয়া গোচরা খাল। কর্ণফুলী নদীর সাথে সংযুক্ত এই খালটির ওপর সেতু না থাকায় বাঁশের সাঁকো বানিয়ে বছরের পর বছর ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে স্কুলকলেজগামী শিক্ষার্থী, শ্রমিক, ব্যবসায়ীসহ এতদ অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষকে। একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার কর্ণফুলী নদী পাড়ের দুই নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ নোয়াগাঁও। এই ওয়ার্ডের নদী পাড় সংলগ্ন জেলেপল্লীকে বিভক্ত করেছে কর্ণফুলীর সাথে সংযুক্ত গোচরা খালটি। খালের পূর্ব পাড়ে কর্ণফুলী জুটমিলসহ রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও অন্যপাড়ে ঐতিহ্যবাহী গোচরা বাজার, স্কুল, মাদ্রাসা। দুই পাড়ে কয়েক গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা রয়েছে। দীর্ঘ বছর ধরে স্থানীয় ব্যবসায়ী রেজাউল করিমসহ এলাকাবাসীর চাঁদায় নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে ওই খাল পারাপার করে থাকেন পথচারীরা। যান চলাচলের ব্যবস্থা না থাকায় অসুস্থ মানুষকে নিতেও দীর্ঘ পথ ঘুরে আসতে হয় এই এলাকার বাসিন্দাদের।

নোয়াগাঁও জেলে পল্লীর জয় প্রকাশ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তির শিকার হচ্ছি আমরা। একটি স্থায়ী সেতুর দাবি জানিয়ে আসছি অনেক বছর ধরে। এরপরও স্থায়ী সেতু নির্মিত হয়নি।

সরেজমিনে দেখা যায়, বাঁশের খুঁটি গেড়ে তার উপর কিছু বাঁশ গুচ্ছ করে বেঁধে এবং দুইপাশে বাঁশের রেলিং দিয়ে আনুমানিক ৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়েছে। কোনমতে হেঁটে হেলেদুলে সাঁকো পার হন পথচারীরা।

পোমরা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পূজা জলদাশ বলেন, সাঁকো পার হয়ে স্কুলে যেতে হয়। সড়ক পথে অন্য স্থান দিয়ে যেতে ৫ মিনিটের এই দূরত্ব আধাঘণ্টাতেও যাওয়া যায় না।

গোচরা বাজারের ব্যবসায়ী রেজাউল করিম বলেন, প্রতি বছর সাঁকোটি ভেসে যায়। তখন আমি নিজে উদ্যোগ নিয়ে এটি গড়ে দিই। ভেসে গেলে তখন মানুষের দুর্ভোগের অন্ত থাকে না।

স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর নুরুল আবছার জসিম বলেন, ওই স্থানে সেতু না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে (এলজিইডি) আবেদন করা হয়েছে। দ্রুতই এর একটা ফল পাওয়া যাবে।

এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো. দিদারুল আলম বলেন, ওই স্থানে সেতু নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত ঊর্ধ্বতন মহলে প্রেরণ করা হয়েছে। ইস্টার্ন কেমিক্যাল থেকে গোচরা বাজার পর্যন্ত সড়কটিও আইডিভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। অচিরেই একটা সুফল আসবে বলে আশা করছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচৌধুরীহাট শ্মশান কালী মন্দিরে চুরি
পরবর্তী নিবন্ধবিভিন্ন স্কুল ও মাদ্‌রাসায় বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ