বাঁশখালীর গণ্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও একই ওয়াডের্র আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শরিফের (৫৫) ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মো. শরিফ বাদী হয়ে ৪ জনকে জ্ঞাত এবং আরো ৭/৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বাঁশখালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
থানায় প্রদত্ত অভিযোগ এবং প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আজ মঙ্গলবার (১৫ জুন) বিকেলে গণ্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও একই ওয়াডের্র আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শরিফ গণ্ডামারা ইউপির পূর্ব বড়ঘোনা ফজল করিম সড়কের কাজ চলমান থাকা অবস্থায় শ্রমিকদের মজুরি দেওয়ার জন্য পূর্ব বড়ঘোনা এলাকার হামিদ উল্লার টেক এলাকায় পৌঁছলে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা হামলাকারীরা তার ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়।
এ সময় তারা শরিফকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি, লাথি মেরে গুরুতর জখম করে ও তার কাছে রক্ষিত টাকা ছিনিয়ে নেয়।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বাঁশখালী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়।
ঘটনার ব্যাপারে আহত ইউপি সদস্যের পুত্র আব্দুর রহমান সোহেল বলেন, “ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দকৃত পূর্ব বড়ঘোনা ফজল করিম সড়কের কাজে শ্রমিকদের মজুরি দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে হামিউল্লার টেক এলাকায় পৌঁছলে আমার পিতার ওপর তারা পরিকল্পিত হামলা চালায়। এ সময় ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দকৃত সড়কের মজুরি বাবদ রক্ষিত ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা।”
ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
মো. শরিফের ওপর হামলার ব্যাপারে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সফিউল কবীর বলেন, “ইউপি সদস্যের ওপর হামলার অভিযোগ পেয়েছি। প্রাথমিক তদন্তের জন্য এক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”
তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং হামলাকারীদের গ্রেফতার করা হবে বলে জানান তিনি।