বাঁশখালীর পুকুরিয়ায় খোন্দকার পাড়ায় জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মো. সাবের হোসাইনকে কুপিয়ে দুই পা বিচ্ছিন্ন করা হয় গত ১৮ মার্চ।
গুরুতর আহত সাবেরকে আশংকাজনক অবস্থায় প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ও পরে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হলেও তাকে বাঁচানো যায়নি। তিনি মারা যান ১৯ মার্চ।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আমেনা বেগম বাদী হয়ে দেলোয়ার হোসেনকে প্রধান আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
অবশেষে র্যাব-৭ অভিযান চালিয়ে আজ মঙ্গলবার (১ জুন) দুপুর ১২টার দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রোয়াজারহাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করে এ হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামী দেলোয়ার হোসেনকে। গ্রেফতার দেলোয়ার হোসেন বাঁশখালী উপজেলার খন্দকার পাড়ার মৃত মোজাহের আহম্মদের ছেলে।
গ্রেফতারের পর বিষয়টি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টায় র্যাব-৭ চান্দগাঁও কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করে।
এতে সিপিসি-৩ এর কোম্পানি অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার আব্দুল্লাহ আল জাবের ইমরান বলেন, “গত ১৮ মার্চ ভূমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মো. সাবের হোসাইনকে আপন চাচাতো ভাই দেলোয়ার হোসেন কুপিয়ে দুই পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে৷ এ সময় স্থানীয়রা সাবেরকে প্রথমে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যান।
সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় তাকে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৯ মার্চ সাবের হোসাইন মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনায় সাবের হোসেনের স্ত্রী আমেনা বেগম বাদী হয়ে বাঁশখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।”
তিনি বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে আজ (মঙ্গলবার) দুপুর ১২টার দিকে রাঙ্গুনিয়া থেকে আসামী দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী মো. সাবের হোসাইনকে হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন।”
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন র্যাব-৭ সিপিসি-৩ এর স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মো. রকিবুল হাসান।
এদিকে ঘটনার পর অভিযোগের ভিত্তিতে বাঁশখালী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে দেলোয়ারের পুত্র মো. হাসান(১৯)কে আটক করেছে।
দেলোয়ার আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে নিহত সাবেরের স্ত্রী আমেনা বেগম তার দ্রুত বিচার দাবি করেন।