দখল–দূষণে ধুঁকছে বাঁশখালীর ২৯ টি সরকারি খাল ও ছড়া। বর্জ্যে ভরাট হয়ে গেছে অনেক খাল। ফলে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। বিভিন্ন ব্যক্তি–গোষ্ঠী খাল দখল করে গড়ে তুলেছে নানান স্থাপনা। খাল ও ছড়াগুলো অধিকাংশ এলাকা অবৈধ দখলদার ও ভরাট হয়ে যাওয়ায় আগের সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণ। এখন আগের মতো সেই চিত্র তেমন একটা চোখে পড়ে না। দখল আর ভরাটের পরিপ্রেক্ষিতে সরু হয়ে আসছে এই সবকয়টি খাল ও ছড়া। ফলে নৌকা চলাচলে যথেষ্ট অসুবিধা পোহাতে হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা আগের মতো মালামাল পরিবহন করতে পারছেন না। এ ছাড়া খালের তীরে গড়ে উঠেছে বহুতল ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা। চর ও বাঁধ দখল করে গড়ে উঠেছে জনবসতি। উপজেলার পূর্বাঞ্চলের ছড়ার প্রবাহিত পানি খালে নামার জন্য অবস্থিত অধিকাংশ সুইসগেট নানাভাবে দখল ও বন্ধ থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই বন্যার সৃষ্টি হয় খালের পূর্বাঞ্চল জুড়ে।
উপজেলার বিভিন্ন হাট–বাজার সংলগ্ন খালগুলোর পার্শ্ববর্তী বসবাসকারী লোকজন ও ব্যবসায়ীরা, ময়লা–আবর্জনাগুলো খালে ফেলে পানি চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করায় জোয়ার ও বৃষ্টির পানিতে নাকাল গ্রামবাসী। স্থানীয় প্রশাসনের নেই কোন পদেক্ষপ। দখলদারদের বিরুদ্ধে তেমন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। পরিশেষে দখলকৃত সরকারি খালগুলো দখলমুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
মোহাম্মদ ছৈয়দুল আলম
বাঁশখালী, চট্টগ্রাম।