বাঁশখালীতে সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও তার সহযোগী বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বাঁশখালী সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হামিদের আদালতে মামলা দুটি করেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সেক্রেটারি আমিনুর রহমান চৌধুরী এবং বিএনপি নেতা জাফর আহমদ।
মামলায় সাবেক এমপি মোস্তাফিজ ছাড়াও সাবেক মেয়র শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী, সরল ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপির চাচা চেয়ারম্যান রশিদ আহমদ চৌধুরী, কালীপুর ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট শাহাদাত আলম, চাম্বল ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক, খানখানাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হায়দারসহ শতাধিক লোককে আসামি করা হয়েছে।
আদালত মামলা দুটি আমলে নিয়ে বাঁশখালী থানার ওসিকে এজহার হিসেবে গণ্য করতে নির্দেশ দিয়েছেন। আমিনুর রহমান চৌধুরীর মামলায় ৭৪ জন এবং জাফর আহমদের মামলায় ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
বাদী পক্ষে মামলা দুটি পরিচালনা করেন, এ্যাডভোকেট এইচ এম হেলাল উদ্দিন, এ্যাডভোকেট তকসিমুল গণি ইমন ও এ্যাডভোকেট দিদারসহ বিপুল সংখ্যক আইনজীবী।
এর আগে মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে কালীপুরের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুরুল হক বাদী হয়ে একটি এবং বিগত ৪ জুলাই সাংবাদিক শফকত চাটগামী বাদী হয়ে আরো দুটি মামলা করেছিলেন। বর্তমানে মোস্তাফিজের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ৪টি।
বাদীর আইনজীবী এ্যাডভোকেট এইচ এম হেলাল উদ্দিন জানান, জাফর আহমদের মামলায় সাবেক এমপি মোস্তাফিজের চাচা রশিদ আহমদকে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় চেয়ারম্যান বানাতে চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর ও তার সমর্থক প্রস্তাবককে মারধর করে অপহরণ করা হয়। তার মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নেয়া হয়।
চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান চৌধুরীর মামলায় বিএনপির মিছিলে হামলা, ঘরবাড়ি ভাংচুর, লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বাঁশখালী থানার ওসি তোফায়েল আহমদ জানান, আদালতের আদেশ সম্বলিত কপি পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।