বাঁশখালীর গণ্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- আহমদ রেজা (১৮), রনি হোসেন (২২), শুভ (২৪), মো. রাহাত (২৪) ও মো. রায়হান (২৫)।
তাদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ ৪ জন বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও একজন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। শনিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বেতন ভাতা সংক্রান্ত দাবি আদায়ে বিক্ষোভ থেকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহত ১১ জনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন হাবিব উল্লাহ (২১), মো. রাহাত (৩০), মিজান (২২), মো. মুরাদ (২৫), মো. শাকিল (২৩), মো. কামরুল (২৬), মাসুম আহমদ (২৪), আমিনুল হক (২৫), মো. দিদার (২৩), ওমর (২০) ও অভি (২২)। এছাড়া গণ্ডামারা পুলিশ ফাঁড়ির তিন সদস্যও আহত হয়েছেন। তারা হলেন-ইয়াসির (২৪), আব্দুল কবির ও (২৬), আসাদুজ্জামান (২৩)।-বাংলানিউজ
বাঁশখালী থানার ওসি (তদন্ত) আজিজুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রে সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। এসময় অনেকে আহত হয়। বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভেতর বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা আগুন ধরিয়ে দেন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। ৪টি মরদেহ বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. শফিউর রহমান মজুমদার।
হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শীলব্রত বড়ুয়া জানান, বাঁশখালীর বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ও আহতদের হাসপাতালে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে মো. রায়হান (২৫) মারা যান। তিনি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার আদর্শ গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে।