বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নের সিন্ধি পাড়ায় চাম্বল ফোরকানিয়া মাদ্রাসায় কোরআন শিক্ষা গ্রহণ করতে গিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষকের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক শিক্ষার্থী।
ছাত্রীটি স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী হলেও সকালে মাদ্রাসায় কোরআন শিক্ষা গ্রহণ করতে গিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষকের হাতে ধর্ষণের শিকার হলে আজ সোমবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে ছাত্রীটির মা হোসনে আরা বাদী হয়ে কোরআন শিক্ষক মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সিন্ধি পাড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর এক ছাত্রী (১০) ভোরে কোরআন শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য একই এলাকায় চাম্বল সিন্ধি পাড়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসায় ১০ অক্টোবর সকালে মাদ্রাসায় যায়। কোরআন শিক্ষা শেষে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের ছুটি দিলেও এ শিক্ষার্থী(১০)কে রেখে দেয় শিক্ষক মোজাম্মেল হক। পরে তাকে ধর্ষণ করে ঐ শিক্ষক।
ঘটনাটি শিক্ষক মোজাম্মেল হক ছাত্রীটিকে কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দিলেও ছাত্রীটির বাড়িতে চলাফেরায় কষ্ট হচ্ছে দেখে তার মাকে ঘটনাটি খুলে বলে।
ঘটনা জানাজানি হলে শিক্ষকটি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। ধর্ষণকারী মোজাম্মেল হক চাম্বল সিন্ধি পাড়া ৪নং ওয়ার্ড এলাকার আবদুল মজিদের ছেলে।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, “বাঁশখালীর চাম্বল এলাকায় এক শিক্ষার্থীর ধর্ষণের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। আসামীকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করছে।”