বাঁশখালীতে শিমের ভালো ফলনে খুশি চাষি

কল্যাণ বড়ুয়া, বাঁশখালী | শনিবার , ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ৫:৫২ পূর্বাহ্ণ

বাঁশখালীতে সারাবছর উৎপাদিত হয় নানা ধরনের সবজি। এখান থেকে সহজে রপ্তানি করা যায় চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন স্থানে। তাই চাষিরা আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির সাহায্যে চাষাবাদ কাজ চালিয়ে যায়। বর্তমানে বাঁশখালীতে শীতকালীন সবজিতে ভরে গেছে। নানা ধরনের সবজি বাজারে আসায়, সবজির দাম কিছুটা কমতে শুরু করলেও টমেটো ও শিমের দাম এখনও চড়া। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে বাঁশখালীতে সবজির আবাদ হয়েছে ৬৩৫০ হেক্টর জমিতে। তার মধ্যে শীতকালীন সবজির চাষ হয়েছে ৩৮০০ হেক্টর জমিতে। শিম চাষ হয়েছে ৩৪০ হেক্টর, মুলা ২৫৫ হেক্টর, আগাম টমেটো ২৮০ হেক্টর জমিতে।

বাঁশখালীতে শিমের ব্যাপক চাষ হয়, সাধারণত দুই জাতের শিম চাষ হয়। তার মধ্যে কার্তিকা শিমটা বেশি জনপ্রিয় বলে চাষি এবং ক্রেতারা জানান। বাঁশখালীর পুর্বে পাহাড়ি এলাকা, পশ্চিমে সমুদ্র এবং মধ্যে সমতল ভূমিতে আগাম শিমের ব্যাপক চাষাবাদ হয়। পাশাপাশি বসতবাড়ির আশেপাশে ও পাহাড়ের সমতল জায়গায় শিমের চাষ করে থাকেন চাষিরা।

বর্তমানে চারিদিকে ছেঁয়ে গেছে শীতকালীন সবজি শিম। স্বল্প পরিশ্রম করে অধিক লাভজনক হওয়ায় দিন দিন এ অঞ্চলে শিমের আবাদ বাড়ছে। উর্বর মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার শিম চাষের ব্যাপক ফলন হয়েছে। আগাম শিমে ভালো ফলন ও ন্যায্যমূল্যে দাম পাওয়ায় খুশি চাষিরাও। বর্তমানে বাজারে কেজিপ্রতি খুচরা ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে শিম। তবে পুরোদমে বাজারে শিম আসলে তা কমে আসবে বলে জানান স্থানীয় চাষিরা।

উপজেলার বিভিন্ন সমতল এলাকায় শিমের চাষাবাদ হয়েছে। পুঁইছড়ি, নাপোড়া, চাম্বলের পাহাড়ি জমি, শীলকূপের পাহাড়ি ও আবাদি জমি, জঙ্গল জলদী, পুকুরিয়া, সাধনপুর, কালীপুর, বৈলছড়ি, সরল, খানখানাবাদ ও গন্ডামারা এলাকায় প্রতিবছরের মতো এবারও প্রচুর পরিমাণ শিম উৎপাদিত হয়েছে। প্রতিদিন চাষিরা ক্ষেত থেকে শিমগুলো তুলে এনে বিভিন্ন স্থানীয় বাজারে পাইকারি দরে বিক্রি করছেন। বিশেষ করে উপজেলার শিলকূপ, পুঁইছড়ি, জঙ্গল চাম্বল, জঙ্গল জলদী, কালীপুর এলাকায় এই শিমের আবাদ হয়েছে দেখার মতো। দেশের বিভিন্ন এলাকার পাইকারি ব্যবসায়ীরা বাঁশখালীর বিভিন্ন হাট বাজারগুলোতে ভিড় করছে ফ্রেশ সবজির জন্য। ভালো ফলন ও আশানুরূপ দাম পাওয়ায় খুশি চাষিরাও।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবু সালেক বলেন, বাঁশখালীর পূর্ব পাশের পাহাড় ও পাহাড়ের পাদদেশে প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে শিম চাষ হয়। বসতবাড়ির আঙ্গিনায়ও পারিবারিক চাহিদা পূরণের জন্য শিম চাষ করা হয়। এবার উপজেলা জুড়ে ৩৪০ হেক্টর জমিতে শিমের আগাম চাষ হয়েছে। এ মাসের মাঝামাঝিতে শিমের চাষ বেড়ে ৩৮০ হেক্টরে দাঁড়াবে। কেজিপ্রতি ২০০ টাকা থেকে তারও কমদামে শিম বিক্রি হয়। শিমের ফলন আরো যাতে বাড়ে সেজন্য আমাদের পক্ষ থেকে মাঠে মাঠে গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান। এছাড়া বর্তমানে নানা ধরনের শীতকালীন সবজি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী ফ্যাসিস্টকে আর রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না
পরবর্তী নিবন্ধইউক্রেনে যেকোনো উপায়ে পরাজয় ঠেকাবে রাশিয়া : ল্যাভরভ