বাঁশখালীতে বোরোর ভালো ফলন

ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষক

বাঁশখালী প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ২৭ এপ্রিল, ২০২৩ at ১০:৩০ পূর্বাহ্ণ

বাঁশখালীতে এবার ১১ হাজার ৩শ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে বেশ। ঈদের আমেজ শেষ করে চাষিরা মাঠে নেমে পড়েছে ধান কাটার জন্য। ঝড়বৃষ্টি ও বাতাস হতে পারে এমন চিন্তায় অস্থির সময় পার করছে তারা এখনো পর্যন্ত স্বস্তিতে আছে।বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে ঘন সবুজের সমারোহ ও বোরো ধানের সবুজ ঢেউ উপজেলার সকল কৃষকের মন ভরিয়ে দিচ্ছে। বোরো ধানের সবুজ মাঠে, দিগন্ত জোড়া সবুজ ফসলের মাঠ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরো বিকশিত করে তুলেছে। উপজেলার পুঁইছড়ি, চাম্বল, শীলকূপ, বৈলছড়ী, কালীপুর, সাধনপুর, পুকুরিয়া, বাহারছড়া, খানখানাবাদ, কাথারিয়া, ছনুয়া, শেখেরখীল, গন্ডামারা, সরল ও পৌরসভার জলদী এলাকায় বোরো ধানের ভাল ফলন হয়েছে আর ধান কাটা শুরু করেছে কৃষকরা। অনুকূল আবহাওয়া, কৃষকের নিবিড় পরিচর্যা, যথাসময়ে জমিতে সার ও কীটনাশক প্রয়োগের কারণে বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানান কৃষক ও উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ১১ হাজার ৩ শত হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড জাতের ৫ হাজার ২শত হেক্টর, উফশী জাতের ৬ হাজার ১শত হেক্টর। এ বছর মোটা ধানের ফলন ৮.৫ মেট্রিক টন, চিকন ধানের ফলন ৬.২ মেট্রিক টন আশা করা যাচ্ছে। উপজেলার ১১ হাজার ৭৫০ জন প্রান্তিক কৃষককে বোরো প্রণোদনা ও ৩ হাজার কৃষককে আউশ প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে। এবার অতিরিক্ত ঝড়বৃষ্টি না হওয়ায় বোরো চাষ ভাল হয়েছে। তবে ইকো পার্কের পানির উপর যে চাষী নির্ভরশীল তারা পানির সমস্যায় পড়েছে শীলকুপ এলাকায়, এমন সমস্যায় পড়া চাষীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ ও প্রকাশ করেছে। তার পরে এবার বোরো মৌসুমকে বিদ্যুৎ সরবরাহ, সার, বীজ ও বালাইনাশক সংকট ছিল না। ফলে ফসলের মাঠ ধানে ধানে ভরে গেছে।

সরলের কাহারঘোনা এলাকায় ধান কেটে নিয়ে যাওয়া কৃষক আবদুল মতলব জানান, এবার বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে। যে কষ্ট করেছি মাঠে তা সার্থক হয়েছে বলে সে অভিমত ব্যক্ত করেন। জালিয়াখালী এলাকার রফিক আহমদ বলেন, পরিবেশ ভাল থাকায় বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে।

কৃষক শফি আলম জানান, কৃষি অফিসের সহযোগিতা ও পরামর্শে চাষাবাদকৃত বোরো ধান গতবারের চেয়ে এবার ভালো হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার আবু সালেক জানান, বিভিন্ন ইউনিয়নে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার অধিক জমিতে। বোরো ধানের বাম্পার ফলন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে টিমভিত্তিক কাজ করেছি। কৃষকদের নানা সহায়তার পাশাপাশি পরামর্শ দিয়েছি। এবার ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। তাই বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে তিনি জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনুরুল ইসলাম তালুকদার
পরবর্তী নিবন্ধছাত্রসেনা মহানগর দক্ষিণের শিক্ষাসামগ্রী প্রদান