বাঁশখালীতে বিএনপি নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে করা এসব মামলায় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ৫৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং প্রায় ৪শ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনা পর গতকাল মঙ্গলবার ১১টা পর্যন্ত পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ২৩ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- দক্ষিণ জেলা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি জান্নাতুল নাঈম চৌধুরী রিপু, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শহিদুল আলম শহিদ, বাঁশখালী পৌর মহিলা দলের সভাপতি শারাবন তাহুরা ফেরদৌস কলি, বাঁশখালী উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মো. তারেক, বিএনপির সমর্থক সাধনপুর ইউপির মো. জোবায়ের, ডোংরা এলাকার পারভেজ ও মো. এমরান, জঙ্গল নাপোড়ার মো. কামাল, সাধনপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মো. দেলোয়ার, বিএনপির সমর্থক পশ্চিম গুনাগরির কায়সার, দক্ষিণ সাধনপুরের আব্দুর রহিম, চন্দনাইশ থানার সাতবাড়িয়া ইউপির জসিম উদ্দিন চৌধুরী মিন্টু ও মো. মোশাররফ হোসেন, বাহারছড়া ইউপির হেলাল উদ্দিন, সাধনপুর ইউপির শওকত, শীলকূপ ইউপির মোহাব্বত আলী পাড়ার নবাব আলী, শেখেরখীল ইউপির মো. জাকারিয়া, ডোংরা এলাকার মুনুসর আলম, উত্তর জলদীর আকরাম, শেখেরখীলের নুরুল আমিন, পূর্ব বড়ঘোনার ফরিদুল আলম, উত্তর জলদীর মোশারফ হোসেন ও মো. আলী রিয়াজ।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন পৃথক তিনটি মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, যারা ঘটনার সাথে জড়িত তাদের ছবি ও ভিডিও রয়েছে। তাদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এ পর্যন্ত ২৩জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।