বাঁশখালীর সাধনপুর ইউনিয়নের পূর্ব বৈলগাঁও নতুন পাড়া পাহাড়ি এলাকায় একটি কুঁড়েঘরে পাওনা টাকা আদায় করার জন্য আনোয়ারার শোলকাটার বাসিন্দা মোহাম্মদ মোবারক(৪৫)কে আটকে রাখা অবস্থা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার (১৮ নভেম্বর) বিকালে তাকে বাঁশখালীর বাণীগ্রাম বাজার থেকে তুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতকারীরা।
আটক ব্যক্তিকে উদ্ধারে ৯৯৯ নম্বরে কল দেয়া হলে পুলিশ গিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) ভোরে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বলে থানা সূত্রে জানা যায়।
আটকে রাখা স্থান থেকে লম্বা ২টি কিরিচ, লম্বা রশি ও ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম পাওয়া যায় বলে জানান অভিযানে পুলিশের সাথে থাকা ইউপি সদস্য মো. ফেরদাউস উল হক ও চৌকিদার মো. ইছহাক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আনোয়ারা উপজেলার শোলকাটার বাসিন্দা মোহাম্মদ মোবারক বাণীগ্রাম বাজারে আসলে গতকাল বুধবার বিকালে বাঁশখালীর সাধনপুরের রাসু বাহিনীর সদস্যরা ৮ হাজার টাকা পাওয়ার অভিযোগ তুলে তাকে পাহাড়ে নিয়ে যায়।
বৈলগাঁও বাইন্যাদিঘীর পূর্বে পাহাড়ি এলাকার নতুন পাড়া এজাহার কলোনী সংলগ্ন একটি বাড়িতে পাহাড়ের কুঁড়েঘরে মোবারককে আটকে রাখে তারা।
আটক রাখা অবস্থায় সন্ত্রাসীরা টাকার জন্য শারীরিক নির্যাতন চলাকালীন পার্শ্ববর্তী পরিবারের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে রাতে পুলিশের ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে। জরুরি ভিত্তিতে পুলিশ অভিযানে বৃহস্পতিবার ভোরে মোবারককে উদ্ধার করলেও রাসু বাহিনীর সদস্যরা পালিয়ে যায়।
সাধনপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ফেরদাউস উল হক বলেন, “পাহাড়ি এলাকায় এক ব্যক্তিকে আটক রাখার খবরে পুরো এলাকার মানুষ আতংকিত হয়ে পড়ে। পরে পুলিশ অভিযানে এলে উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করার জন্য পাহাড়ি এলাকায় গেলে একটি বাহিনী গড়ে উঠায় মানুষের মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করার কথা জানায় জনগণ।”
বাঁশখালী রামদাশহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মোস্তফা কামাল বলেন, “সাধনপুরের বৈলগাঁও বাণীগ্রাম পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে মোবারককে উদ্ধার করা হয়েছে। এ পাহাড়ি এলাকায় বিভিন্ন মামলার আসামি রাশেদুল ইসলাম প্রকাশ রাসু ডাকাত সহ যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সকলে খারাপ লোক।” তাদের আটকের জন্য অভিযান পরিচালিত হবে বলে জানান তিনি।