বাঁশখালী উপজেলার পুইছড়ি পাহাড়ি এলাকায় ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষণের মূল হোতা একজনকে গণপিটুনি দিয়ে স্থানীয় জনতা পুলিশে দেয়।
অপর একজনকে রাতেই অভিযান চালিয়ে আটক করেছে পুলিশ।
অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে গুরুতর অসুস্থ কিশোরী বর্তমানে চট্টগ্রাম মেড়িকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি)তে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে অভিযান পরিচালনা ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাঁশখালী থানা পুলিশের এসআই দীপক কুমার সিংহ আজাদীকে জানান।
সোমবার রাতে সংঘটিত এ ঘটনায় চকরিয়া উপজেলার শাহারবিল ইউনিয়নের পূর্ব বড় ভেউলা গ্রামের কিশোরীর বিধবা মা বাদী হয়ে ছনুয়ার ইউনিয়নের মৃত নুর আহমদের পুত্র আবুল বশর(৪৫) ও পুইঁছড়ি ইউনিয়নের আব্দুল মালেকের পুত্র মো. জমির(৩৫)কে আসামি করে বাঁশখালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন আজ মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর)।
জানা যায়, উপজেলার শাহারবিল ইউনিয়নের পূর্ব বড় ভেউলা গ্রামের এক বিধবার সাথে পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে ছনুয়া ইউনিয়নের খুদুকখালী গ্রামের আবুল বশর কিশোরীটিকে গত ১৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম শহরে মহিউদ্দিনের বাসায় গৃহকর্মী হিসাবে দেয়।
পরবর্তীতে মেয়েটিকে কাজে না রাখায় গতকাল সোমবার (২৬ অক্টোবর) চট্টগ্রাম শহর থেকে কিশোরীটিকে আনতে গিয়ে রাত হয়ে যাওয়ার কথা বলে সোমবার রাত ১১টার দিকে পুঁইছড়ি হাব্বান আলী রোড়ের পাশে নিয়ে ছনুয়া ইউনিয়নের মৃত নুর আহমদ ও মাহফুজা খাতুনের পুত্র আবুল বশর ও পুঁইছড়ি ইউনিয়নের পূর্ব পুঁইছড়ি গ্রামের আব্দুল মালেক ও দিলোয়ারা বেগমের পুত্র মো. জমির এ কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ সময় মেয়েটি চিৎকার করে তাদের বাবা ডেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করেও রেহাই পায়নি।
মেয়েটির চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে আবুল বশরকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে রাতে অভিযান চালিয়ে পাহাড়ি এলাকা থেকে মো. জমিরকে আটক করে বাঁশখালী থানা পুলিশের এসআই দীপক কুমার সিংহের নেতৃত্বে পুলিশ দল।
আজ মঙ্গলবার কিশোরীটিকে চমেকের ওসিসিতে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ এবং আটক দুই ধর্ষককে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, “ঘটনার পর পুলিশ জানতে পেরে অভিযানে নেমে আটক আবুল বশরের দেওয়া তথ্যমতে অপর অভিযুক্ত মো. জমিরকে আটক করে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।”