বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের চৌধুরী বাড়িতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৬টি বাড়ির সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
এ সময় ৭ পরিবারের মালামাল পুড়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা জানান।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, আজ বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে গন্ডামারা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের চৌধুরী বাড়িতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটলে মুহূর্তের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগের পিবিআইতে কর্মরত ওসি ফিরোজ উদ্দিন-এর পিতা মাস্টার আবদুল খালেক, মৌলানা আব্দুল মালেক, এডভোকেট মুরাদুল ইসলাম চৌধুরী,নজরুল ইসলাম চৌধুরী, আবদুর রাজ্জাক, মোস্তফা আলী, আবদুল বারী’র ৭টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এ সময় স্থানীয় জনগণ আগুন নেভাতে চেষ্টা করে এবং বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিসের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
অপরদিকে বুধবার রাতে শেখেরখীল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আকবর আলী মহুরী পাড়ায় বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে পড়ে মো. গিয়াস উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির বাড়ির সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিসের টিম লিড়ার লিটন বৈঞ্চব বলেন, “আজ বৃহস্পতিবার সকালে গন্ডামারায় অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে রওনা দিই। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় দ্রুত যাওয়া সম্ভব হয়নি। ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমরা ৩০ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি।”
এ দিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে গন্ডামারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. লেয়াকত আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে ৭৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
চেয়ারম্যান মো. লেয়াকত আলী বলেন, “গন্ডামারায় ৭টি বাড়ি অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে ৪টি বিশাল বাড়ি বেশি পরিমাণ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।”
এদিকে শেখেরখীল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আকবর আলী মহুরী পাড়ায় বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে পড়ে মো. গিয়াস উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির বাড়ির সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
বুধবার রাতে সংঘটিত এ ঘটনায় প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে জানান শেখেরখীল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইয়াছিন তালুকদার।