বাঁশখালী-সাতকানিয়া সীমান্তে পাহাড়ের ঢালুতে অসংখ্য ইটভাটা

পাহাড়ি মাটি ও কাঠ ব্যবহার হচ্ছে

বাঁশখালী প্রতিনিধি | সোমবার , ২৫ নভেম্বর, ২০২৪ at ৫:৫২ পূর্বাহ্ণ

বাঁশখালী ও সাতকানিয়া সীমান্তের পাহাড়ি এলাকায় পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া গড়ে উঠেছে অসংখ্য ইটভাটা। সাতকানিয়া সীমান্তের অসংখ্য ইটভাটার বাইরে সাধনপুর ইউনিয়নের লটমনি মৌজায় ৩টি ইট ভাটা গড়ে উঠেছে। পাহাড়ের ভেতর গড়ে ওঠা এসব ভাটায় পাহাড় কেটে ওই মাটি দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ইট। পাহাড়ের গাছও কেটে পোড়ানো হচ্ছে।পরিবেশ অধিদপ্তরের টাস্ক ফোর্স, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের শুরুতে সরকারিভাবে অভিযান পরিচালনা শুরু করে। পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসন দুটি ইটভাটাকে পাহাড় থেকে মাটি কাটার দায়ে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করে। একটি ইটভাটা গুড়িয়ে দেয়া হয়। গুণাগরি এলাকায় ৩টি পাহাড় থেকে মাটি কাটা চলছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাধনপুর ইউনিয়নের লটমনিতে বসতি এলাকার পাশে রয়েছে বিশাল বিশাল পাহাড়। এসব পাহাড় কেটে সরকারি জায়গার উপর তৈরি করা হয়েছে ইটভাটা। সেখানে পোড়ানো হচ্ছে পাহাড়ের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। সাধনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কেএম সালাউদ্দিন কামাল বলেন, ইটভাটা মালিকদেরকে চিনিও না। এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা বন বিভাগকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পরিষদের পক্ষ থেকে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।

পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলার রিসার্চ অফিসার আশরাফ উদ্দিন বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকলে ইট ভাটাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সালেক বলেন, ইট ভাটায় কৃষি জমির মাটি ব্যবহার করা নিষেধ রয়েছে। অনাবাদি জমিতে ইটভাটা তৈরি তদন্ত সাপেক্ষে হয়ে থাকে। বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন আক্তার বলেন, ইট ভাটাগুলো নিয়ে কেউ অভিযোগ দেয়নি। পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযান পরিচালনা করেছে। পাহাড় কাটা হলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ১৫ লাখ পরিশোধ, বাকিটা মওকুফ, বাড়ি ফিরছে নুহা-নাবা
পরবর্তী নিবন্ধনতুন নির্বাচন কমিশনকে প্রত্যাখ্যান জাতীয় নাগরিক কমিটির