জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার স্বরূপ আরো ৬৬ ভূমিহীন পরিবার বসতঘর পাচ্ছে। আগামী ২০ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নতুন এসব ঘর হস্তান্তর করবেন বলে জানান বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুজ্জামান চৌধুরী। এর আগে বাঁশখালীর পূর্ব জলদী দিঘীর পাড় এলাকায় ২৫ পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এবার পুকুরিয়া নাটমুড়া এলাকায় দুই ধাপে ২৬ এবং ১৪টি ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম মিয়াজী। তিনি আরো বলেন, প্রতিটি ঘরে ইটের দেয়াল, কংক্রিটের মেঝ এবং রঙিন টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি দুটি করে শয়ন কক্ষসহ একটি রান্নাঘর, টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দা রয়েছে।’ যার নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ২৬টি নতুন ঘরের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ২২টি এবং বাকি ৪টির মধ্যে উপজেলা বিসিএস এডমিনিস্ট্রেটিভ এসোসিয়েশন ১টি, উপজেলা কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ ১টি, মাধ্যমিক, দাখিল ও কামিল মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দ ১টি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক/শিক্ষিকাবৃন্দ কর্তৃক ১টির নির্মাণ ব্যয় বহন করা হয়েছে। অপরদিকে ১৪টি ঘর মুজিব বর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের দ্বিতীয় প্রকল্পের।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গিকার, দেশে কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না।’ তারই লক্ষ্যে বাঁশখালীতে প্রথম পর্বের ২৬টি এবং দ্বিতীয় পর্বের ১৪টি মিলে মোট ৪০টি ঘর আগামী ২০ জুন হস্তান্তর করা হবে। সব মিলে মুজিব জন্মশত বর্ষে বাঁশখালীতে মোট ৬৫টি ঘর প্রদান করা হবে।
আমাদের হাটহাজারীতে প্রতিনিধি জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে উপজেলার ২৬টি পরিবারের মাঝে সরকারিভাবে নির্মিত ঘর হস্তান্তর করা হবে। আগামী ২০ জুন সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তালিকাভুক্তদের মধ্য নির্মিত ঘর হস্তান্তর করবেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
উপজেলার আওতাধীন ৪নং গুমানমর্দ্দনের ৩নং ওয়ার্ডে ২৬ পরিবারের তালিকাভুক্তদের জন্য সরকারিভাবে এসব ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতি পরিবারের জন্য বরাদ্দকৃত দুই শতক জমির মধ্যে ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এসব ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগও দেওয়া হয়েছে। নির্মিত ঘরগুলো আকর্ষণীয় করতে চুনকাম করা হচ্ছে। এসব ঘরে বসবাসকারীদের সুপেয় পানীয় জলের জন্য দুই পাশে দুটি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। জলাচারের জন্য একটি পুকুর খনন করা হয়েছে। পুকুর সর্বসাধারণের ব্যবহারের জন্য উম্মুক্ত থাকবে। তবে পুকুরের আয় মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রাপ্ত বাড়ির মালিকরা শুধু ভোগ করবেন।











