লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া ও সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় পাহাড়ি ছড়ায় বাঁধ দিয়ে বন বিভাগের আড়াই হাজার একর জায়গা দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা লেকের কারণে বনের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে ৯ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে বন অধিদপ্তর।
গত সোমবার বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কমিটি গঠনের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানানো হয়। কমিটিতে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক বিপুল কৃষ্ণ দাশকে সভাপতি ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুনকে সদস্য করা হয়।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির সদস্যসচিব ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন দৈনিক আজাদীকে বলেন, বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারী) চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষকের কার্যালয়ে কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ওই সভায় কমিটির সদস্যরা কর্মপন্থা চূড়ান্ত করবেন। সংরক্ষিত ও রক্ষিত বনে অবৈধভাবে বাঁধ দেওয়ার ফলে জীববৈচিত্র্যের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত বনকে কীভাবে পুনর্গঠন করে আগের প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা যায়, সেই বিষয়ে কমিটি সুপারিশ করবে।
তিনি আরও বলেন, লেক তৈরির কারণে গামারি, সেগুন, চিকরাশি, অর্জুনসহ বিভিন্ন প্রজাতির ছোট-বড় প্রায় পাঁচ লাখ গাছ মারা গেছে। ডুবে যাওয়া জায়গার মধ্যে বন্য হাতির চলাচলের পথ ছিল। নানা প্রজাতির প্রাণী বাস করত সেখানে।
বাঁধ কেটে দেওয়ায় লেকের পানি নেমে গেছে। এখন সেখানে আবার বনায়ন করার পরিকল্পনা রয়েছে বন বিভাগের। আগামী অর্থবছরে লেক এলাকায় বনায়ন করা হবে। আবার যাতে বন্য প্রাণীর আবাসস্থল গড়ে ওঠে এবং হাতি চলাচলের পথ সচল হয়, সে জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে।