বাংলাদেশের সঙ্গে বহুমুখী সম্পর্ক এগিয়ে নিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, যে কথা আমি আগেও বলেছি, দুদেশের জনগণের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষা, শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত আছি। বহুমুখী খাতের এই সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে আমরা আমাদের সম্পৃক্ততা অব্যাহত রাখব। আপনারা জানেন, আমাদের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। আগামী দিনগুলোকে সেটাকে এগিয়ে নেওয়ার প্রতীক্ষায় আছি। খবর বিডিনিউজের।
নতুন পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পাশাপাশি বিস্তৃত পরিসরে আলোচনা হওয়ার কথা বলেন প্রণয় ভার্মা। তবে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহতের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তিনি এড়িয়ে যান। এ বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, এ নিয়ে ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কথা বলেছেন। এরপর তিনি ডায়াস ছেড়ে চলে যান।
ছাত্র–জনতার আন্দোলনে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটনার পর ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন করে অস্বস্তি দানা বেঁধেছে। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। অন্যদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়টি নিয়ে ভাবার কথা বলছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শনিবার হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি মাসের চতুর্থ সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা। তবে এখনো সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানায়নি ভারত সরকার।
দুদেশের মধ্যে যোগাযোগের বিষয়ে জানাশোনা আছে, এমন ব্যক্তিদের বরাতে ভারতীয় গণমাধ্যমটি লিখেছে, এ সপ্তাহে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইউনূসের বিভিন্ন মন্তব্যের প্রেক্ষাপটে মনে হচ্ছে, বৈঠকটি হবে না। ইউনূসের বক্তব্যগুলো নয়াদিল্লি ভালোভাবে নেয়নি। সম্প্রতি পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ইউনূস। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ফেরত না চাওয়া পর্যন্ত ভারতে অবস্থানকালে সাবেক ওই প্রধানমন্ত্রীর চুপ থাকা উচিত।