বহুমাত্রিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন চৌধুরী জহুরুল হক

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৪ জানুয়ারি, ২০২১ at ৭:০৩ পূর্বাহ্ণ

কবি রাশেদ রউফ বলেছেন, চৌধুরী জহুরুল হক একজন বহুমাত্রিক ব্যক্তিত্ব। নাটকে যেমন তার কাজ আছে তেমনি গানেও। সংগীত রচয়িতা হিসেবে তিনি অনন্য সাধারণ। কথা সাহিত্যিক হিসেবেও তাঁর কৃতিত্ব আছে, তিনি ছিলেন গল্পকার ও উপন্যাসিক। গবেষক হিসেবেও সফল ছিলেন তিনি। মাহবুব উল আলম চৌধুরীর ‘কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি’ শিরোনামের কবিতাটি পূর্ণাঙ্গ পুনরুদ্ধার করেন তিনি। গতকাল দৈনিক আজাদী মিলনায়তনে নাট্যকার চৌধুরী জহুরুল হক স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অধ্যাপক চৌধুরী জহুরুল হকের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নাট্যপত্রিকা নাট্যমঞ্চ, নাট্যমঞ্চ রেপার্টরি ও নাট্যমঞ্চ প্রকাশন যৌথভাবে এই সভার আয়োজন করে।
সভায় ‘শতাব্দীর সাংস্কৃতিক অভিযাত্রা : পরিপ্রেক্ষিত চট্টগ্রাম’ শীর্ষক স্মারক বক্তব্য রাখেন প্রবীণ সাংবাদিক সুভাষ দে। বিশেষ অতিথি ছিলেন নাট্যজন শিশির দত্ত ও সনজীব বড়ুয়া। নাট্যমঞ্চ সম্পাদক জাহেদুল আলমের সভাপতিত্বে এতে নাট্যব্যক্তিত্ব রবিউল আলম ও শুভ্রা বিশ্বাসকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। নাট্যজন ড. ইউসুফ ইকবালের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাবিরা সুলতানা বীণা। বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিশুসাহিত্যিক রাশেদ রউফ বলেন, চৌধুরী জহুরুল হক চোঙ্গা গল্প ও আত্মসাক্ষাৎকার নামে নতুন দুইটি ধারার সৃষ্টি করেন।
স্মারক বক্তা সুভাষ দে চট্টগ্রাম মহানগরীকে ঐতিহাসিক-সাংস্কৃতিক নগরী হিসেবে ঘোষণা করতে সকল মহলকে চেষ্টা করার আহবান জানান। এক্ষেত্রে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংবাদপত্র দৈনিক আজাদী ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ৬০ এর দশকে সাহিত্য সংস্কৃতি আন্দোলনে পাশে ছিল আজাদী।
কবি রাশেদ রউফ বলেন, সাংস্কৃতিক নগরী করার যে দাবি তা পূরণে আজাদী অবশ্যই দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করবে। আজাদীর আগে একুশের প্রথম কবিতা প্রকাশেও কোহিনূর ইলেক্ট্রিক প্রেসের ভূমিকা আছে। এখানকার আপামর মানুষের চাহিদা, প্রত্যাশা ও স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে আজাদী।
নাট্যজন শিশির দত্ত বলেন, চৌধুরী জহুরুল হক এমন এক ব্যক্তিত্ব যার কোন শত্রু খুুঁজে পাওয়া যাবে না। চট্টগ্রামের যেখানেই নাটক মঞ্চস্থ হত সেখানে ছুটে যেতেন জহুরুল হক। ঢাকার নাট্যকর্মীদের কাছে চট্টগ্রামের নাটকের প্রশংসা করতেন। চট্টগ্রামে মিলন চৌধুরীর প্রথম যে পথনাটক হয়েছিল সেটা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে জহুরুল হকের বিরাট ভূমিকা ছিল।
তিনি বলেন, চৌধুরী জহুরুল হকের লেখার নিজস্ব ভাষা ছিল। যা বাংলা ভাষার ইতিহাস ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করেছে। নাট্যজন সনজীব বড়ুয়া বলেন, সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রেরণাদাতা হিসেবে অনন্য ছিলেন চৌধুরী জহুরুল হক। অনুষ্ঠানে চৌধুরী জহুরুল হক রচিত গান পরিবেশন করে সঙ্গীত ভবন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপেশায় মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ আড়ালে ইয়াবার ব্যবসা
পরবর্তী নিবন্ধকর্ণফুলী টানেলের কাজ গতি পেয়েছে