বহমান সময়

ফজলুল হক | সোমবার , ১৮ মার্চ, ২০২৪ at ৫:১০ পূর্বাহ্ণ

একজন শিক্ষক এবং তার স্বপ্ন

আমার একজন সাবেক সহকর্মী আমাকে একবার উনার ড্রিম সম্পর্কে বলেছিলেন। তিনি যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সেটি এখনো তার কাছে স্বপ্ন বলে মনে হয় না। মনে হয় তিনি বাস্তবে ওই ঘটনায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। ওই স্বপ্ন এখনো তাকে ঘুমাতে দেয় না। আমি আজ থেকে ত্রিশ বছর আগে চট্টগ্রামের একটি সরকারি কলেজ থেকে বদলি হয়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি জেলায় অন্য একটি সরকারি কলেজে চলে যাই। সেই জেলায় যাওয়ার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো ছিল না। একাধিকবার বাস বদল করতে হতো তাই সে কর্মস্থলে যাওয়ার পর আমি ঘন ঘন চট্টগ্রামে আসতে পারতাম না। সেখানে আমার সাথে সেই কলেজের বিজ্ঞান অনুষদের একজন শিক্ষক ফরমানের সাথে পরিচয় হয়। তিনি পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ছিলেন কিন্তু এস্ট্রোফিজিক্স বিষয়ে তিনি খুবই আগ্রহী ছিলেন। এই বিষয়ের উপর তার কিছু প্রবন্ধ দেশের বাইরে জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিল। তিনি বিদেশে স্প্রিচুয়ালিটি ইন ওয়ার্ক প্লেস বা কর্মক্ষেত্রে আধ্যাত্মিকতা বিষয়ে লেখাপড়া করেছেন এবং মেডিটেশন বিষয়েও তিনি দেশের বাইরে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিলেন। তিনি অত্যন্ত নিয়ম মেনে চলা একজন শিক্ষক ছিলেন। বিজ্ঞান অনুষদে আরেকজন শিক্ষক সম্পর্কে তিনি আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন যে আমার সাথে রহমত উল্লাহ নামের একজন শিক্ষকের পরিচয় হয়েছে কিনা।

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি জেলায় কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হলেও তার ক্যাম্পাস অনেক বড় ছিল এবং আমাদের বাণিজ্য ভবনের নিকট থেকে বিজ্ঞান অনুষদের বিজ্ঞান ভবনের দূরত্ব ছিল। ফলে আমার সাথে বিজ্ঞান অনুষদের অধিকাংশ শিক্ষকের কখনো পরিচয় হয়নি। ফরমান আমাকে বলেছিলেন ওই কলেজে রহমতুল্লাহ একজন জনপ্রিয় শিক্ষক। তিনি সকাল নয় টায় তার বিভাগে এসে উপস্থিত হতেন এবং বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত প্রতিদিন উপস্থিত থাকতেন, নিয়মিত ক্লাস নিতেন। ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুবই জনপ্রিয় ছিলেন। উনি খুবই কম কথাবার্তা বলতেন এবং ক্লাস নেওয়ার ক্ষেত্রে ফাঁকি দেওয়াকে তিনি দুর্নীতির চাইতেও খারাপ কাজ বলে মনে করতেন। তার পর একদিন আমাকে কিছু কথাবার্তা বলার জন্য ফরমান আমার বিভাগে আসলেন। তিনি আমাকে বললেন রহমতুল্লাহর সাথে তার খুবই নিবিড় একটা সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। রহমত সাধারণত খুব কম কথাবার্তা বলতেন কিন্তু ফরমানের সাথে কোনো কোনো বিষয়ে আলাপ করতে আগ্রহ দেখাতেন। কেন রহমত কথা কম বলে এ বিষয়ে তার ব্যাখ্যা হল তিনি তিনটি স্তরে কোনো কথাবার্তা বলতে চান না।

প্রথমত, যে সমস্ত কথাবার্তায় মিথ্যাচার হয় বা অপরের দুর্নাম কিংবা গীবত করা হয় ওই সমস্ত বিষয়ে কথাবার্তা বলা রহমত এড়িয়ে চলেন। দ্বিতীয় স্তরে অহংকার করা বা কারো অমঙ্গল কামনা করা বিষয়টি তিনি সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যান। তৃতীয় স্তরে তিনি মনে করেন মানুষের প্রতি বিদ্বেষ এবং শত্রুতা পোষণ উচিত নয় কারণ পৃথিবী সমস্ত সম্পদের মালিক হচ্ছেন আল্লাহ। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তাকে রিজিক বণ্টন করে দেন, যাকে ইচ্ছা তাকে দেন না। সুতরাং শত্রুতা এবং বিদ্বেষ প্রসঙ্গে কথা না বলাই ভালো। আমি ফরমানের সাথে কথাবার্তা বলে বুঝতে পারলাম যে তিনি ধীরে ধীরে রহমতের ব্যক্তিত্ব ও আচারআচরণের প্রতি ঝোঁকে পড়েছেন।

তারপর এক পর্যায়ে রহমত তাকে তার গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানালেন এবং সেটি হলো ওই জেলা থেকে প্রায় পঞ্চাশ মাইল দূরে নদীর তীরে একটি চরাঞ্চলে সেখানে সম্পূর্ণ রাস্তা নৌকায় যেতে হয়। নৌপথ ছাড়া অন্য কোনোভাবে সেখানে যাওয়ার উপায় নেই। আমাকে জানালো একদিন সন্ধ্যায় এক লোক এসে তাকে বলল যে যদি আপনি রহমতের বাড়ি যেতে চান তাহলে আমার সাথে আসেন নৌকা প্রস্তুত আছে। ফরমান সেই লোকটির পিছু পিছু গিয়ে হেঁটে নৌকা আরোহণ করলো এবং নৌকায় চলতে শুরু করল। দীর্ঘ সময় চলার পর দুজন নৌকা থেকে নেমে হেঁটে একটি গৃহে উপস্থিত হলো এবং সেখানে ফরমান কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলেন। তার কিছুক্ষণ পর লোকটি এসে আবার ফরমানকে ডেকে বাইরে আসতে বলল এবং তখন তিনি দেখতে পেলেন বেল্টের মত কিংবা কার্পেটের মতো একটি জিনিস তাদের দরজায় পাতা হয়েছে এবং লোকটি সে কার্পেটের উপর উঠলো ফরমানও পিছু পিছু সেই কার্পেটের উপর উঠলো। তারা কার্পেটের দিকে হাঁটতে শুরু করল। কার্পেটের সামনে রোল করা ছিল এবং সেটি খুলে যেতে লাগলো পিছন দিক থেকে সেটি রোল হয়ে গুটিয়ে যেতে শুরু করল। দীর্ঘক্ষণ হাঁটার পর তারা একটি দিঘি দেখতে পেল। অনেক দূর থেকে দেখা যাচ্ছে। ফরমান অনুমান করলেন যে এই দিঘিটি কমপক্ষে কয়েক মাইল দীর্ঘ হবে এবং প্রশস্ত সেরকম কয়েক মাইল হতে পারে। এতবড় দিঘি তিনি কখনো দেখেছেন তার মনে পড়ছে না। অনেকক্ষণ পর তারা দিঘির নিকটে এসে গেল তখন তাদের পুরো রাস্তা অন্ধকার ছিল কিন্তু তার মধ্যেও তাদের চলাফেরা করতে কোনো অসুবিধা হয়নি। দিঘির চারপাশে উঁচু করে পাড় বাঁধা ছিল এবং সে পাড়ে অনেক বৃক্ষ তারা দেখতে পেল। দিঘির এক প্রান্তে কিছু অংশ পাড় কাটা ছিল এবং তারা সেই পথ দিয়ে দিঘিতে প্রবেশ করল। এই কার্পেটের উপর দিয়ে তারা দিঘির উপর দিয়ে হেঁটে দিঘির মধ্যখানে গিয়ে দেখতে পেল যে ছোট্ট একটি নৌকার মতো ভাসমান একটি যান দিঘির মধ্যখানে দাঁড়িয়ে আছে। তারা সেটিতে উঠল। উঠার পর ফরমানকে রেখে ঐ লোকটি বাইরে চলে এলো। সেই নৌযানের ভিতরে ঢোকার পর ফরমান দেখতে পেল যে সেটি একটি সুসজ্জিত কক্ষের মতো এবং সেখানে একজন লোক বসে আছেন তার মনে হলো এই লোকটি হচ্ছে রহমত যার কথা তিনি আগে বলেছিলেন।

কিন্তু স্পষ্ট করে কারো চেহারা বুঝা যাচ্ছিল না এবং সেখানে তারা দুজন বসলেন। বিশাল দিঘি জলে ভরা ছিলো এবং ফরমান লক্ষ্য করল যে দিঘির কালো জল চারদিকে ঘূর্ণমান। উপরের দিকে তাকিয়ে তিনি লক্ষ্য করলেন যে বিশালাকার একটি চাঁদের মতো বস্তু আকাশে উদয় হয়েছে এবং তার জোছনা ঝড়ে ঝড়ে পড়ছে দিঘির জলে এবং জলের সাথে জোছনা মিশে যাচ্ছে। তিনি অনেকক্ষণ সেখানে বসে ছিলেন এবং অনেকক্ষণ বসে থাকার পরও তাদের দুজনের মধ্যে তেমন কোনো বাক্য বিনিময় হয়নি। সবশেষে তিনি লোকটিকে প্রশ্ন করলেন আপনি কি আমাকে এখানে আসার জন্য লোক পাঠিয়েছেন? তিনি বললেন হ্যাঁ।

আমি তাকে প্রশ্ন করলাম যে তাহলে কেন আপনি আমাকে এখানে এনেছেন। তিনি বললেন,

সামনে মানুষের জন্য কিছু খারাপ সময় আসতে পারে। পৃথিবীর মানুষ অনেক উন্নতি লাভ করেছে কিন্তু দুটি বিষয়কে তারা অতিক্রম করতে পারেনি। একটি হচ্ছে উগ্র উচ্চাকাঙ্ক্ষা। এই উগ্র উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে সমস্ত ক্ষমতাধর মানুষ ভুগতে থাকেন তারা মানুষের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনে। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে চরম সুবিধাবাদ। ধনীগরিব সকলের মধ্যে এই সুবিধাবাদী মনোভাব কাজ করে। এ মনোভাবের লোকেরা করতে পারে না এমন কোনো কাজ নেই। আগামী দিনের পৃথিবীতে এই দুটি বিষয় মানুষের জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। মানুষ যেমন খুবই বুদ্ধিমত্তাধর প্রাণি তেমনি মানুষ আত্মবিধ্বংসী প্রাণি। বুদ্ধিমত্তা মানুষের জন্য সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেয় কিন্তু আত্মবিধ্বংসী মনোভাব মানুষকে ধ্বংসকারী প্রাণিতে রূপান্তরিত করে। বিস্ময়করভাবে ফরমান লক্ষ্য করল যে দিঘির কালো জল তীব্র বেগে এই নৌযানের চারদিকে ঘুরছে এবং আকাশে চন্দ্রসদৃশ্য বিশাল এক আলোকিত বস্তু থেকে গলে গলে হলুদ আলো দিঘির জলের সাথে মিশে যাচ্ছে। তখন বাইরে অপেক্ষমাণ লোকটি এসে ফরমানকে বলল এবার যাবার সময় হয়েছে।

ফরমান নৌযান থেকে নেমে আবার কার্পেটের উপরে উঠলো এবং তারা হাঁটতে শুরু করল।

অনেক সময় ধরে হাঁটতে হাঁটতে তারা আবার সেই পূর্বের বাড়িতে এসে তারপর কার্পেট থেকে নেমে গেলেন। কার্পেটটি আপনা আপনি রোল হয়ে অদৃশ্য হয়ে গেল। সে বাড়িতে কিছুক্ষণ অবস্থান করার পর তারা আবার নদীর ঘাটে গিয়ে নৌকায় উঠলেন এবং নৌকাটি চলতে শুরু করল। তারপর একসময় তারা সে নৌকায় তাদের গৃহে ফিরে আসলেন এবং লোকটি নৌকা সহ অদৃশ্য হয়ে গেল।

ফরমান যখন আমাকে এ ঘটনাটির বিবরণ দিয়েছিলেন তখন তিনি বললেন, যে এই ঘটনাটি বাস্তব না স্বপ্ন সেটি তিনি বুঝতে পারছেন না এবং তিনি এটি নিয়ে সবসময় চিন্তিত আছেন। আমি সেখানে কয়েক বছর ছিলাম তারপর আবার বদলি হয়ে আমার অন্য কর্মস্থলে চলে আসি। তারও আরো কয়েক বছর পর ফরমান আমাকে জানিয়েছিলো বিদেশে একটি সাইন্স ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করার জন্য তিনি গিয়েছিলেন। সেখানে একজন নামকরা জ্যোতির্বিজ্ঞানীর কাছে তিনি তার এই ড্রিম সম্পর্কে বলেছিলেন। যে একজন মানুষের পক্ষে বাস্তবে এ ধরনের কোনো ঘটনায় অংশগ্রহণ করা সম্ভব কিনা। ওই জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফরমান কে তার এই ড্রিম কিংবা কল্পনার জগতের ভ্রমণ বিষয়ে একটি ধারণা দিয়ে বলেছিলেন তিনি যে জলযানে এবং তার কার্পেটের উপর দিয়ে হেঁটে দিঘি পর্যন্ত গিয়েছিলেন সে দুটি এক ধরনের টাইম মেশিন যা দিয়ে ফিউচারে ট্রাভেল করা যায়। মানুষ যে একদিন ফিউচারে ট্রাভেল করতে পারবে এটা অসম্ভব কোনো বিষয় নয় বলে জ্যোতির্বিজ্ঞানী মনে করেন। পৃথিবীতে আলোর গতি সম্পর্কে মানুষের বা আমাদের সকলের একটি ধারণা আছে। যদি কোনোভাবে তার চাইতে অধিক গতিতে চলাচল করা যায় বা অধিক গতি অতিক্রম করা যায় তাহলে মানুষ ফিউচার এর দিকে চলে যেতে সক্ষম হবে।

মহাকাশের অনেক রহস্য এখনো মানুষ পুরোপুরি জানতে পারেনি। এমনকি মহাকাশের রহস্যের কয়েকশো বিলিয়ন ভাগের এক ভাগও মানুষের ধারণার মধ্যে আসেনি। আমাদের সৌরজগৎ সোলার সিস্টেম গ্যালাক্সি মিল্কিওয়ে সম্পর্কে যেটুকু ধারণা আছে তার বাইরে বিশাল গ্যাস ধূলিকণা এবং ক্লাউড সমৃদ্ধ শূন্যস্থান রয়েছে যা সম্পর্কে আমরা কোনো ধারনাই করতে পারি না। বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ থেকে মানুষ এটুকু জানতে পেরেছে যে সেই এলাকায় বিশাল মহাশূন্যে প্রতিমুহূর্তে নতুন নতুন গ্যালাক্সি তৈরি হচ্ছে। গ্যাস ধূলিকণা এমন পর্যায়ে আছে যে সেগুলি ধীরে ধীরে গ্রহনক্ষত্রের রূপ নিচ্ছে। তার বাইরে রয়েছে বিশাল বিশাল কৃষ্ণ গহ্‌বর বা ব্ল্যাক হোল।

মানুষের এ পর্যন্ত ধারণায় যেসব ব্ল্যাকহোল আছে তার মধ্যে বৃহৎ একটি ব্ল্যাক হোলের সন্ধান পাওয়া গেছে যার একটি সূর্য আমাদের সূর্যের চাইতে পাঁচ হাজার ট্রিলিয়ন গুণ বড়। এ ব্ল্যাক হোল তার শক্তি দিয়ে এই নক্ষত্রকে পরিচালনা করে এবং এই ধরনের একটি নক্ষত্রকে খেয়ে ফেলতে তার একদিনের পরিমাণ সময় লাগে। বিশাল উত্তাপ ও শক্তি সম্পন্ন নক্ষত্রটি আস্তে আস্তে নিষ্প্রভ হয়ে চাঁদের আলোর মত নরম হয়ে যায় এবং সেটি ব্ল্যাক হোলের গহব্বরে ঢুকে যায়। এই বিশালাকার নক্ষত্রকে ব্ল্যাক হোলের কোয়েসাড় রূপে কল্পনা করা হয়। সেই জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফরমানকে বললেন হয়তো আপনি এস্ট্রোফিজিঙ এর উপরে কাজ করতে গিয়ে এই সমস্ত বিষয়ে লেখাপড়া করেছেন এবং এসব নিয়ে চিন্তাভাবনা করেছেন। সম্ভবত আপনার অবচেতন মন আপনাকে একটি ব্ল্যাক হোলে নিয়ে গিয়েছিল। সে ব্ল্যাক হোলের ভিতরে আপনি প্রবেশ করেছিলেন এবং তখন সে সূর্যের তুলনায় পাঁচহাজার ট্রিলিয়ন বড় এবং শক্তি সম্পন্ন নক্ষত্র দিকে গিলে খাচ্ছিল। প্রথমে নক্ষত্রটি নিষ্প্রভ হয়ে যায় তারপর তার হলুদ আলো ব্ল্যাক হোলের গহব্বরে ঢুকে পড়ছিল। সে দিঘির জলের সাথে তখন আপনি হলুদ আলোকে মিশে যেতে দেখেছেন। আমি বিজ্ঞানের ছাত্র না হওয়ার কারণে ফরমানের মত একজন বিশিষ্ট বিজ্ঞান শিক্ষকের এই অদ্ভুত ড্রিম এর গল্পটি বুঝতে পারিনি এবং কখনো এ বিষয়টি বুঝে আমার পক্ষে সম্ভব হবে না।

লেখক : শিক্ষাবিদ, কলামিস্ট, প্রাবন্ধিক; প্রাক্তন অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাংলার স্বাধীনতা
পরবর্তী নিবন্ধঅপ্রতিদ্বন্দ্বী চেম্বার নেতা পরিমল সাহা