বসুন্ধরা আবাসিকে ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠক নিয়ে তদন্ত চলছে : পুলিশ

| শনিবার , ২ আগস্ট, ২০২৫ at ১০:৫১ পূর্বাহ্ণ

ঢাকার বসুন্ধরা এলাকায় ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠকের রহস্য উদঘাটনে এবং পেছনে জড়িতদের বের করতে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। অন্তর্বর্তী সরকারের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ৮ আগস্ট ঘিরে নানা হুমকির কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাসলেও নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ধরনের শঙ্কা পুলিশ দেখছে না। গত ৮ জুলাই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা সংলগ্ন একটি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কয়েকশ কর্মীর গোপন বৈঠকের ঘটনায় ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মেজর সাদিকুল হক নামে এক সেনা কর্মকর্তার ওই বৈঠকে অংশ নেওয়ার অভিযোগ ওঠায় তাকে হেফাজতে নিয়েছে সেনাবাহিনী। তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সেনাবাহিনীর তদন্ত আদালত গঠনেরও খবর এসেছে। খবর বিডিনিউজের।

আইনশৃক্সখলা পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল শুক্রবার বিকালে ডিএমপির এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। তিনি বলেন, গত ৮ জুলাই বসুন্ধরা এলাকায় কে বি কনভেনশন হলে একটা বৈঠক নিয়ে আমাদের কাছে তথ্য ছিল। কনভেনশন হলটি ভাড়া নেন শামীমা নাসরিন শম্পা নামে একজন। সে সময় তিনি বিদেশে লোক পাঠানোর নাম করে একটা প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করেছিলেন। সেখানে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে লোকজনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, যার প্রেক্ষিতে গত ১৩ জুলাই ভাটারা থানায় একটি মামলা করা হয়।

তালেবুর বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে ইতোমধ্যে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা বিষয়টা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে দেখছি। এ ঘটনার অন্য কোনো দিক আছে কিনা, এর প্রকৃত রহস্য কী এবং কারা কারা এর পেছনে দায়ী, সেগুলো শিগগিরই উন্মোচন করা হবে।

গত ১ বছরে ঢাকা মহানগরের আইনশৃক্সখলা পরিস্থিতি দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, বর্তমানে আগস্টকেন্দ্রিক কোনোরকমের নিরাপত্তা শঙ্কা দেখছি না। আমরা সবসময় সতর্ক রয়েছি। আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি এবং সক্ষমতা রয়েছে।

ঢাকার আইনশৃক্সখলা পরিস্থিতি বিনষ্ট করার জন্য কিছু লোক বিভিন্ন অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে দাবি করে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, তাদের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে এবং গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের কাছে যে গোয়েন্দা তথ্য আছে, সেগুলো যাচাই বাছাই করে কারও বিরুদ্ধে যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে, কোনোরকম আইনশৃক্সখলা বিনষ্ট করার চেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে আমরা গ্রেপ্তারগুলো করছি। একটা বিষয় স্পষ্ট, কাউকে ঢালাওভাবে বা কাউকে হয়রানিমূলক গ্রেপ্তারের কোনো অবকাশ নেই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৫ আগস্টের মধ্যেই জুলাই ঘোষণাপত্র : তথ্য উপদেষ্টা
পরবর্তী নিবন্ধ৮ টন ধারণ ক্ষমতার সড়কে চলছে ৩৬ টন পাথর বোঝাই ডাম্পার ট্রাক