সম্প্রতি দুইদফা প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সীতাকুণ্ড উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের ছোট–বড় ৩০টি গ্রামীণ সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাথে সংযোগ আছে এমন কয়েকটি সড়ক ছাড়া গ্রামের অভ্যন্তরীণ শাখা সড়ক ও সংযোগ সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে উপজেলাবাসীর যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, অতি বর্ষণে উপজেলার ১০৯ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারমধ্যে কাঁচা রাস্তা সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে ৭ কিলোমিটার, আংশিক বিধ্বস্ত ৪২ কিলোমিটার এবং আংশিক কাঁচা নষ্ট হয়েছে ৬০ কিলোমিটার।
উপজেলার কয়েকটি গ্রাম সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক– হামিদুল্লাহ সড়ক, কোরবান আলী চৌধুরী সড়ক, ভাটিয়ারী ইউনিয়নের ফিডার সড়ক, দক্ষিণ খাদেমপাড়া, ইলিয়াস আলী সড়ক, সুয়াখালী সড়ক, তুলাতলী সড়ক, কাজী মসজিদ সড়ক, রাজা মিয়া চৌধুরী সড়ক ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেহান উদ্দিন রেহান বলেন, গত এক মাসে দুই দফা টানা বৃষ্টিতে এলাকার সব রাস্তাই কম বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাস্তাগুলো সংস্কারের ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ হচ্ছে। বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা জাফর আহম্মেদ বলেন, আকিলপুর সড়ক দিয়ে এ ওয়ার্ডের প্রায় ৩ হাজার গ্রামবাসী চলাচল করে। তাদের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি দীর্ঘদিনের দাবির পর কার্পেটিং করা হলেও নিন্নমানের কাজের কারণে সামান্য বৃষ্টিতে কার্পেটিং নষ্ট হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগের কথা জানিয়ে সৈয়দপুর ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম নিজামী জানান, আমার এলাকার সব রাস্তাই কম বেশি নষ্ট হয়েছে। এগুলো সংস্কারের পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে বন্যায় ক্ষয়–ক্ষতির তালিকা চাওয়া হয়েছে। তারা তালিকা দিলে ক্রমান্বয়ে চলাচলে অনুপযোগী সড়কগুলো সংস্কার করার উদ্যোগ নেয়া হবে।