বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে গত ৩ দিন ধরে প্রবল বর্ষণে বন্যা ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে ডুবে গেছে মহেশখালীর সমতল ভূমিতে চাষাবাদ করা মৌসুমী পানের বরজ। এতে পান চাষিরা কোটি কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। বৃষ্টি থেমে পানি নেমে গেলে সদ্য রোপিত এসব পান বরজে পচন ধরে ব্যাপক মড়ক দেখা দেবে বলে পান চাষিদের আশঙ্কা।
মৌসুমী পান চাষি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বাবুল বলেন, তিনি ভাদ্র মাসের শেষের দিকে প্রায় এক একর জমিতে ১৫০ ভার পান বরজ করেন। এতে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার মতো তার খরচ হয়। মহেশখালীতে তার মতো আরো শত শত সৌখিন পান চাষি মোটা অংকের পুঁজি বিনিয়োগ করে পান চাষ করে থাকেন। সমতল ভূমির ধান চাষের জমিতে চাষ করা এসব মৌসুমী পানের বরজ গত কয়েকদিনের বৃষ্টিজনিত জলাবদ্ধতা ও পাহাড়ি ঢলে ডুবে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তিনি আরো বলেন, পানিতে ডুবে যাওয়া এসব পানের বরজ বৃষ্টির পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে রোদ পড়লে দেখা দেবে ব্যাপক মড়ক। ফলে মরে যাওয়া বরজে চলতি মৌসুমে আর নতুন করে চাষাবাদ করা সম্ভব হবে না। এতে পান চাষিরা তার বিনিয়োগকৃত পুঁজি হারিয়ে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। অপরদিকে কালারমারছড়ার আফজলিয়া পাড়ায় চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের ‘অপরিকল্পিত’ কাজের কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন স্থানীয় চাষিরা। পান চাষি গিয়াস উদ্দিন, ফরিদ সহ অনেকেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নিয়োজিত লোকদের সাথে ক্ষতিপূরণের বিষয়ে কথা বলতে গেলে তারা আরো উল্টো তাদের হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন।