তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষ্যে ‘এসো দেশ বদলাই পৃথিবী বদলাই’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল আর্চারী উৎসব। বর্ণিল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আয়োজিত আর্চারী উৎসবে ছিল ল্যালি, পিঠা উৎসব, লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সব শেষে উন্মোক্ত আর্চারী প্রতিযোগিতা। নগরীর আউটার স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় এই আর্চারি উৎসব। এর আগে সার্কিট হাউজ গেইট থেকে শুরু হয় বর্ণাঢ্য র্যালি। প্রধান অতিথি হিসেবে র্যালির উদ্বোধন করেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দিন। র্যালিটি আউটার স্টেডিয়াম এলাকা ঘুরে মাঠে গিয়ে শেষ হয়। এরপর শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। যেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজি রাজিব উদ্দিন আহমদ চপল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন দেশব্যাপি আর্চারি উৎসবের প্রধান সমন্বয়কারী এবং বাংলাদেশ সেপাক টাকরো এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারুক ঢালি। বক্তব্য রাখেন সিজেকেএস কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম, শাহবাজ মুনতাসির চৌধুরী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সিজেকেএস কাউন্সিলর ও বাংলাদেশ সেপাকটাকরো এসোসিয়েশনের নির্বাহী সদস্য সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিজেকেএস কাউন্সিলর ও ভলিবল ফেডারেশনের সহ–সভাপতি ওয়াহিদ দুলাল, মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশ সেপাকটাকরো এসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক লুৎফুল করিম সোহেল, সিজেকেএস কাউন্সিলর প্রসেনজিত দত্ত রাজু, দৈনিক আজাদীর ক্রীড়া সাংবাদিক নজরুল ইসলাম, ফটিকছড়ি তৌহিদুল আনোয়ার উচ্চ বিদ্যালয়েল প্রধান শিক্ষক কাউসার বেগম। খেলা পরিচালনা করেন সাইফুল্যাহ মুনির। অনুষ্ঠানের শুরুতে উপজাতীয় শিল্পীরা মনোজ্ঞ নৃত্য পরিবেশন করেন। এছাড়া নানা পিটা পুলির আয়োজন ছিল। এরপর শুরু হয় উন্মোক্ত আর্চারি প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন মো. লিটন। দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে আদনান। আর তৃতীয় হয়েছেন তানিম। এদিকে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন আর্চারি সত্যিকার অর্থে অত্যন্ত আকর্ষণীয় একটি খেলা। আর বাংলাদেশ এই খেলায় বেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তার পেছনে অবশ্য কাজি রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপলের মত মানুষ রয়েছে বলেই তা সম্ভব। তিনি আর্চারির উন্নয়নে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বিশেষ অতিথি কাজি রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপল বলেন আর্চারিকে আমরা সারা দেশে আরো বেশি করে ছড়িয়ে দিতে চাই। তিনি বলেন আমরা চট্টগ্রামে একটি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট করতে চাই। আর সে জন্য একটা জায়গা দরকার। বিভাগীয় কমিশনার তার পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। দুপুরে পুরস্কার বিতরনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এই উৎসব। দেশের বিভিন্ন জেলায় এই উৎসব শেষ হয়েছে। এখন ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে আর্চারি উৎসব হবে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষ্যে।
