চতুর্দিকে নদী ও সাগর বেষ্টিত উপকূলীয় অঞ্চল মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও পেকুয়া উপজেলার মধ্যবর্তী নদীর নাম কোহেলিয়া। এককালের প্রমত্তা স্রোতস্বিনী কোহেলিয়া নদী তার নিজস্ব স্রোত হারিয়ে এখন প্রায় মরা গাঙ্গে পরিণত হতে চলেছে।
বিভিন্ন বর্জ্য কোহেলিয়া নদীতে এসে পড়ায় বর্তমানে গভীর এ নদী একেবারে ভরাট হয়ে গেছে। পূর্ণ জোয়ার ছাড়া নদীতে কোন ধরনের নৌযান চলাচল করতে পারে না। আবার জোয়ার হলেও গভীরতা কমে যাওয়ায় মাতারবাড়ি কোহেলিয়া নদীর উপর স্থাপিত ব্রিজের কারণে সকল ধরনের নৌযান ব্রিজ অতিক্রম করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে না পারায় এখানকার লবণ ব্যবসায়ী, ট্রলার মালিক ও নৌযানের মাঝি–মাল্লারা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মাতারবাড়ী ইউপির সাবেক সদস্য আব্দুল বারেক জানান, ইতিপূর্বে পূর্ণ ভাটা হলেও এ নদী দিয়ে মালবাহী থেকে শুরু করে বড় বড় নৌযান চলাচল করতে কোনো ধরনের বাধা হতো না।
কিন্তু এখন ভাটার সময় এ নদীতে সামান্য পরিমাণ পানিও থাকেনা। জোয়ার হলে ব্রিজের কারণে যাতায়াত করতে পারেনা নৌযান। ফলে নৌযান মালিকরা পড়ছে বেকায়দায়। এলাকাবাসী ও নদী সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা কোহেলিয়া নদীটি রক্ষার জন্য অবিলম্বে ড্রেজিং করে নদীর স্রোত পূর্বের অবস্থায় ফিরে আনার দাবি জানিয়েছেন।