বন্যায় ফটিকছড়ির ৩২৭ কিমি সড়ক ও ১৯৭ ব্রিজ-কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ২৯ আগস্ট, ২০২৪ at ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ

সামপ্রতিক বন্যায় ফটিকছড়িতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলএলজিইডি সড়ক, ব্রিজ ও কালভার্টের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার প্রায় ৩২৭ কিলোমিটার সড়ক এবং ১৯৭টি ব্রিজ ও কালভার্টের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভেসে উঠছে সড়কের ক্ষতচিহ্ন। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কে চরম দুর্ভোগ নিয়ে যাতায়াত করছেন এলাকাবাসী।

গ্রামীণ জনপদের অনেক এলাকার সড়কে এখন যান চলাচল বন্ধ। পায়ে হেঁটে যাওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে। অসুস্থ, বয়স্ক ও শিশুদের যাতায়াতে ভোগান্তি অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। স্থানীয়রা বলছেন, বন্যা মোকাবিলায় পরিকল্পিত উদ্যোগ, বিশেষ করে নদী এবং খালের বেড়িবাঁধ নির্মাণ না করলে এবং শাখা খালগুলো সচল না করলে সড়ক ও বাঁধ ভেঙে প্রতিবছরই ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে।

উপজেলা এলজিইডি অফিসের দেওয়া প্রাথমিক তথ্যমতে, ফটিকছড়িতে প্রায় ২২ কিরোমিটার উপজেলা সড়ক, ৩৭ কিলোমিটার ইউনিয়ন সড়ক, ২৬৮ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একইসাথে ৩টি ব্রিজ, ১২০টি বক্স কালভার্ট, ৭৪টি স্লাব কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

খিরাম এলাকার টেক্সিচালক এরশাদ আলী বলেন, আমাদের চলাচলে খুব অসুবিধা হচ্ছে। আমরা যারা ভাড়ায় গাড়ি নিয়ে বের হই, তারা বেশি অসুবিধার সম্মুখীন। রাস্তা ভাঙা, গর্ত। তাছাড়া রাস্তার পাশ যে কোনো সময় ধসে যাবে। সুয়াবিলের মো. শফিকুল বলেন, বন্যায় সুয়াবিল এলাকা খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গ্রামের ভিতরের বেশিরভাগ সড়ক ভেঙে গেছে। কিছু সড়ক চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

খিরাম ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন বলেন, খিরামে সর্তা খাল ভাঙনে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ২টি সড়ক ভেঙে যান চলাচল প্রায় অযোগ্য। এছাড়াও গ্রামীণ সড়ক ভেঙে মানুষের দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।

ফটিকছড়ি উপজেলা এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী তন্ময় নাথ বলেন, উপজেলায় ভয়াবহ বন্যায় সড়ক, গ্রামীণ সড়কের অনেক বেশি ক্ষতি হয়েছে। এগুলোর প্রাথমিক তালিকা করা হচ্ছে। ধীরে ধীরে সব তথ্য সংগ্রহ করে সড়কগুলো মেরামত করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবন্ধুত্ব চাই, সহযোগিতা চাই : ভারতের প্রতি জামায়াতের বার্তা
পরবর্তী নিবন্ধআ. লীগ নিষিদ্ধ করা সমীচীন হবে না : আইন উপদেষ্টা