টানা ভারী বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢলে দেশের অনেক জেলায় দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। বন্যার পানিতে লাখ লাখ মানুষের বাড়িঘর–ফসলি জমির পাশাপাশি তলিয়ে গেছে চট্টগ্রাম–ঢাকা–চট্টগ্রাম–সিলেট–চট্টগ্রাম–কক্সবাজার–চট্টগ্রাম–নাজিরহাট রেলপথও। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এসব বন্যাকবলিত এলাকায় ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী এবং পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চট্টগ্রাম–ঢাকা, চট্টগ্রাম–সিলেট, চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রেলপথের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। একইভাবে চট্টগ্রাম–নাজিরহাট রেলপথেরও ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি সারিয়ে ট্রেন চলাচল করতে সময় লাগতে পারে বলে জানা গেছে।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্টের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, প্রবল বর্ষণ ও অতি বৃষ্টির কারণে পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন সেকশনে রেললাইনের নিচের মাটি সরে গিয়ে লাইন বেঁকে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। অতি বৃষ্টির কারণে ফাজিলপুর–কালিদহ সেকশনের নিচ থেকে মাটি, পাথরসহ স্লিপার সরে গিয়ে রেল লাইন বেঁকে যায় এবং চট্টগ্রাম–নাজিরহাট– দোহাজারী–কক্সবাজার সেকশনেও একইভাবে লাইন পানিতে ডুবে রেললাইনের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে লাইন বেঁকে যাওয়ায় এই রুটে ট্রেন চলাচল গত ২২ আগস্ট থেকে বন্ধ রাখা হয়।
এছাড়া, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও খোয়াই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সিলেটের শায়েস্তাগঞ্জ–লস্করপুর সেকশনের কিলোমিটার ২৬০/৯ থেকে ২৬১/১ পর্যন্ত ৯৮ নম্বর রেল সেতুর গার্ডার সমান পানি হওয়ায় ট্রেন চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বিধায় গত বৃহস্পতিবার থেকে এই রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
এই ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ট্র্যাক) প্রকৌশলী মো. আরমান হোসেন আজাদীকে বলেন, সকালে ফেনীতে ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইন দেখতে গেছি। ফেনী এলাকায় রেল লাইনের উপরে এখনো কোথাও দুই ফুট–কোথাও দেড় ফুট পানি। এখনো কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে বুঝা যাচ্ছে না; সময় লাগবে। পানি নেমে গেলে বুঝা যাবে। তবে রেল লাইনে ক্ষতি হয়েছে।