কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনীসহ চট্টগ্রামের মিরসরাই ও ফটিকছড়িতে হালদা নদীর বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। মানুষের বাড়িঘর, মসজিদ, মন্দির–গীর্জাসহ রাস্তাঘাট পানিতে পরিপূর্ণ। বাংলাদেশের স্মরণকালের এই ভয়াবহ বন্যার পানির প্রবল গ্রোতে ভেসে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে শিশু, নারী, বৃদ্ধ ও বিভিন্ন গৃহপালিত পশু। বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ এখন আশ্রয়হীন হয়ে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির জন্য হাহাকার করছে। সরকার, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও দেশের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো বন্যাকবলিত মানুষের সহায়তা এগিয়ে এলেও প্রশিক্ষিত রেসকিউ টীমের অভাবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে খাদ্য পানীয় পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। এমতাবস্থায়, দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্যাদুর্গতের সাহায্যের নামে চলছে চাঁদাবাজি। কিছু চাঁদাবাজ বন্যাদুর্গতের জন্য সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহ করে নিজেরা বন্ধু–বান্ধবী নিয়ে বন্যা কবলিত এলাকায় গিয়ে ট্যুর করে সেল্ফি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড দিচ্ছে। যা অত্যন্ত লজ্জা ও দুঃখজনক। দেশের এই দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে সরকারের দায়িত্বশীলদের প্রতি অনুরোধ করছি নিবন্ধিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সাথে সমন্বয় করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যেন বন্যাদুর্গত মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসার পাশাপাশি এলাকা ভিত্তিক চাঁদাবাজ ও বন্যার নামে সেল্ফিবাজদের দৌরাত্ম্য যেন বন্ধ করা হয়।
আবদুর রহিম
মতিয়ারপোল,
কমার্স কলেজ রোড়।