টানা বর্ষণ, পাহাড়ি ঢল ও হালদা নদীর ভাঙনে হাটহাজারীতে বিভিন্ন ইউনিয়নে বন্যা হয়েছে। বন্যায় উপজেলার আওতাধীন ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রায় ৩৫টি গ্রামের দুই লক্ষাধিক লোক পানিবন্দি। বন্যার কারণে উপজেলার ৮ শতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। পুকুরের মাছ খাল–বিল ও ছড়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
বৃষ্টির প্রকোপ কমলেও বন্যা পরিস্থিতির আশানুরূপ উন্নতি হয়নি। বিভিন্ন ইউনিয়নের খাল, ছড়া ও পানি নিষ্কাশনের পথ অবৈধ দখলের কারণে বন্যার পানি দ্রুত যেতে পারছে না। তাছাড়া হালদা নদীর জোয়ারের কারণেও জোয়ারের সময় পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যার কারণে উপজেলার আওতাধীন বিভিন্ন স্থানে অনেক লোক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। বেকার আর কর্মহীন মানুষ বিল, খাল ও ছড়ায় মাছ ধরছেন। চারদিকে পানি আর পানি। বানের পানিতে হাত জাল নিয়ে রীতিমতো মাছ ধরার ধুম পড়েছে। পুকুর থেকে বেরিয়ে যাওয়া মাছও পাচ্ছেন অনেকে। বন্যার আতঙ্কের মাঝে মাছ ধরার আনন্দও আছে। অনেকে মাছ না পেলেও দল বেঁধে জাল মারায় আনন্দ পাচ্ছেন। তাই অনেকে জাল নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। আবার মাছ ধরা দেখতেও অনেকে খালে–বিলে ও ছড়ায় ভিড় করেছেন।