চন্দনাইশের ধোপাছড়ি ইউনিয়নের সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম খানহাট-ধোপাছড়ি-বান্দরবান সড়ক সংস্কারের দাবিতে সম্প্রতি মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। তবে বনবিভাগ বলছে, এই নামে কোনো সড়ক নেই। এটি বনবিভাগের ধোপাছড়ি-দুধপুকুরিয়া বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের অংশ। অভয়ারণ্যে এভাবে রাস্তা নেয়া সমীচীন নয়।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবদুল আলিম বলেন, খানহাট-ধোপাছড়ি-বান্দরবান সড়ক দিয়ে ৩০ বছর আগে থেকে ধোপাছড়ি ইউনিয়নের মানুষ পায়ে হেঁটে চন্দনাইশ সদরে যাওয়া-আসা করত। ২০১৪ সালের পর বর্তমান সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরীর প্রচেষ্টায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দ থেকে সড়কটি সংস্কার করার পর ধোপাছড়িবাসী মোটরসাইকেল ও সিএনজি টেক্সিযোগে যাতায়াত করার সুযোগ পায়। বিগত বর্ষায় সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে মাননীয় সংসদ সদস্যের ডিও’র মাধ্যমে সড়ক ও জনপথ বিভাগ পুনরায় সড়কটি সংস্কার কাজ শুরু করে। কিন্তু বনবিভাগ সড়ক সংস্কারে বাধা প্রদান করছে।
তিনি জানান, এই সড়কটি দিয়ে ধোপাছড়ির মানুষ ৩০ মিনিটে চন্দনাইশ সদরে যাওয়া-আসা করতে পারেন। তাছাড়া সড়কটি দিয়ে বান্দরবান জেলায় প্রবেশ করা সহজ। এতে ২ ঘণ্টা সময় সাশ্রয় হয়। জনস্বার্থে সড়কটি সংস্কারে বাধা না দিতে বনবিভাগের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, খানহাট-ধোপাছড়ি-বান্দরবান সড়ক নামে যে সড়কটি সংস্কার করা হচ্ছে এই নামে কোনো সড়ক নেই। এটি বনবিভাগের ধোপাছড়ি-দুধপুকুরিয়া বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের অংশ। বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে এভাবে রাস্তা নেয়া সমীচীন নয়। বিষয়টি সড়ক ও জনপথ বিভাগকে চিঠির মাধ্যমে অবহিত করা হয়েছে। যদি রাস্তা করতে হয় তাহলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে করলে বনবিভাগের কোনো আপত্তি থাকবে না। রিজার্ভ ফরেস্টের মধ্যদিয়ে পাহাড় কেটে রাস্তা নির্মাণ অব্যাহত থাকলে বনবিভাগের পক্ষ থেকে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে বলে জানান তিনি।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুস ছালাম। বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. দুলাল কান্তি দে, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মোনাফ, প্রধান শিক্ষক মো. ইসহাক, শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, ইউপি সদস্য মুজিবুল হক খোকা, জয়নাল আবেদীন, আমানত হোসেন, আশরাফ ভুইয়া, আবদুল করিম, টিপু দাশ, কবির আহমদ, নাছির উদ্দীন, জাহানার বেগম, সাবেক মেম্বার আবদুল জব্বার, জমির উদ্দীন, মোস্তাক আহমদ সওদাগর, জাহাঙ্গীর আলম সোহেল, মোস্তাফিজুর রহমান, লাকি আকতার, মো. শাহাজাহান, সৌরভ বাবু, নাঈম রহমান, এটিএম সেলিম, এসএম মামুন, হামিদুর রহমান, বোরহান উদ্দীন, মো. সোলাইমান, বিশ্ব চন্দ্র ত্রিপুরা, রুদ্ধ মনি ত্রিপুরা প্রমুখ।