মানুষের জীবনে বন্ধুর ভূমিকা খুবই অপরিহার্য। ছোটবেলা থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়সে ও বন্ধুর প্রয়োজন হয়। একটা ছোট শিশু যখন সবকিছু বুঝতে শিখে, চিনতে পারে তখন সেও চায় তার সমবয়সীদের সাথে খেলতে। ধীরে ধীরে যখন স্কুলজীবন শুরু হয় তখন তো বন্ধু ছাড়া কোন কথায় নেই। একসাথে টিফিন খাওয়া, আড্ডা, খেলাধূলা, ঝগড়া, যে কোন সমস্যার সমাধান, বিপদে পাশে থাকা, বন্ধুর বাসায় যাওয়া সবকিছু মিলে স্কুলজীবন হয়ে উঠে জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। স্কুলের বন্ধু ছাড়াও পাড়ার বা প্রতিবেশী বন্ধুর ভূমিকাও কম না। কলেজ জীবনে অনেক সময় স্কুলের বন্ধুদের পাওয়া যায় না, তখন নতুন বন্ধু হয়। কিন্তু সেই স্কুল জীবনের বন্ধুদের সাথে ঠিকই যোগাযোগ থাকে। স্কুলজীবনে বন্ধুদের সাথে কাটানো সময় মানুষ কখনো ভুলতে পারে না। মানুষ যখন কর্মজীবন বা সংসার জীবনে প্রবেশ করে তখনও বন্ধুর ভূমিকা অস্বীকার করা যায় না। কাজের ফাঁকে অবসরে কোথাও গিয়ে আড্ডা বা ফোনে যোগাযোগ করে খবর নেওয়া বা সময় কাটানো হয়। মানুষ ব্যস্ততার মাঝেও মানসিক শান্তির জন্য বন্ধুর সান্নিধ্যে আসে।
মানুষের অবসর জীবন যখন শুরু হয় তখন যারা একা হয়ে যায়, সময় কাটাতে পারে না, বন্ধু পাশে থাকে না তখন ধীরে ধীরে জীবনের শেষ প্রান্তে পৌঁছে যায়। নিঃসঙ্গ মানুষের জীবন খুবই হতাশাজনক, মানসিক প্রশান্তিহীন। প্রকৃত বন্ধু যখন জীবনে পাশে থাকে তখন মানুষের জীবন হয়ে ওঠে সমৃদ্ধ, সুন্দর, সাবলীল।