লকডাউনে সিটি কর্পোরেশনের জরুরি সেবাগুলো বন্ধ হবে না বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। জরুরি সেবার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, পরিচ্ছন্ন, আলোকায়ন, রাস্তার প্যাচওয়ার্ক চলমান থাকবে এবং সিটি কর্পোরেশনের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসা সেবাগুলো চালু থাকবে।
তিনি গতকাল টাইগারপাসস্থ নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে চসিকের বিভাগীয় ও শাখা প্রধানদের সাথে করোনা পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করতে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
সভায় মেয়র আরো বলেন, বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই যেখানে জলজট হতে পারে সেখানকার স্বাভাবিক পানি চলাচল ও পানি নিষ্কাশনের প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং নালা-নর্দমা-খালে আবর্জনা ও মাটিমুক্তকরণের কাজ চলমান থাকবে। মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে চাক্তাই খালসহ অন্যান্য খালের যে সকল স্থানে বাঁধ দেয়া হয়েছে, সেখান থেকে জমাট পানি সরে যেতে বিকল্প পথ তৈরির কাজ প্রকল্প কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে করতে হবে। বাঁধগুলো অপসারণ করতে হবে।
মেয়র আরো বলেন, লক ডাউনকে এক সপ্তাহ ছুটি মনে করার কোন অবকাশ নেই। লকডাউনে সরকারের নির্দেশনা মেনে চলা বাধ্যতামূলক। আমরা আগে অবহেলা করেছি। এবার অবহেলার সুযোগ নেই।
তিনি কাউন্সিলরদের নগরের ৪১ ওয়ার্ডে সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সচেতনতামূলক মাইকিং, লিফলেট, বিনামূল্যে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণের কর্মসূচি অব্যাহত রাখার আহবান জানান।
মেয়র বলেন, করোনা সংক্রমিতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে লালদিঘী পাড়স্থ চসিক পাবলিক লাইব্রেরী ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনের দুইটি ফ্লোরে আইসোলেশন সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় লক ডাউন শতভাগ কার্যকর করতে হবে।
সভায় বক্তব্য রাখেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মো. মোজাম্মেল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আখতার চৌধুরীসহ বিভাগীয় প্রধানগণ।