বন্দরের ট্যারিফ বৃদ্ধি হলে রপ্তানিমুখী শিল্পখাত ক্ষতির সম্মুখীন হবে

প্রতিক্রিয়ায় বিজিএমইএর নবনির্বাচিত প্রথম সহ-সভাপতি সেলিম রহমান

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২০ জুন, ২০২৫ at ৬:০৯ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দরের ট্যারিফ বৃদ্ধি করা হলে পোশাক শিল্পসহ রপ্তানিমুখী শিল্পখাত চরম ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিজিএমইএ’র নবনির্বাচিত প্রথম সহসভাপতি সেলিম রহমান। চট্টগ্রাম বন্দরে বিভিন্ন সেবার বিপরীতে ট্যারিফ বাড়ানোর উদ্যোগের বিষয়ে গতকাল সংবাদপত্রে প্রেরিত এক বিবৃতিতে সেলিম রহমান তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, ২০২০ সালের করোনা পরবর্তী সময় হতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পখাত বিভিন্ন ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

পরবর্তীতে রাশিয়াইউক্রেন যুদ্ধ ও বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দাবস্থা, চলমান ইসরাইলফিলিস্তিন যুদ্ধ, ইসরাইলইরান যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম বৃদ্ধি এবং সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বিভিন্ন দেশে বর্ধিত শুল্ক আরোপের ফলে বর্তমানে দেশের গার্মেন্টস শিল্পে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তাছাড়া জুলাই’২৪ গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময় থেকে দেশিবিদেশি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে শ্রম অসন্তোষসহ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হয়ে এ শিল্প বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সীমাহীন প্রতিকূলতার মাঝেও পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাগণ নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে বন্দরে ট্যারিফ বৃদ্ধি করা হলে রপ্তানিমুখী তৈরিখাত শিল্পের জন্য মারাত্মক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে এবং এই পোশাক শিল্প টিকে থাকা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বলেও তিনি বিবৃতিতে উল্লেখ করেন।

বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতীয় রপ্তানির বৃহত্তর স্বার্থ বিবেচনায় বন্দরে ট্যারিফ বৃদ্ধির মত রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য তিনি সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট উদাত্ত আহ্বান জানান।

তিনি দেশের অর্থনৈতিক মেরুদন্ড খ্যাত তৈরি পোশাক শিল্পের সার্বিক কল্যাণে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআমেরিকা কি যুদ্ধে নামবে, জানা যাবে দু’সপ্তাহের মধ্যে
পরবর্তী নিবন্ধপাহাড়তলী থানা থেকে লুট করা অস্ত্রে ছিনতাই-ডাকাতি