চট্টগ্রাম বন্দরে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ৭২৮ টন পেঁয়াজ এসে পৌঁছেছে। গত সোমবার ২৮ কন্টেনারে এসব পেঁয়াজ আসে বলে জানান টিসিবির চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান জামাল উদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, তুরস্ক থেকে এমভি কন্টশিপ হাব নামের জাহাজে বন্দরে আসে পেঁয়াজের এসব কন্টেনার। দ্রুত খালাস করে এসব পেঁয়াজ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠিয়ে দেয়া হবে। এটি টিসিবির আমদানি করা প্রথম চালান। পরের তিন চালানে শিগগিরই আরো ৮৭ টন পেঁয়াজ আসবে।
জামাল উদ্দিন বলেন, আজ (গতকাল) নগরী ও নগরীর বাইরে ২০ ট্রাকে ৩০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছি। পরিমাণ নির্ভর করে পেঁয়াজের সরবরাহের ওপর। সরবরাহ বেশি থাকলে ১ টন পর্যন্ত বিক্রি করছি। তবে এখন যেহেতু পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে, তাই স্বাভাবিকভাবে পরিমাণ বাড়বে।
চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বুলবুল বলেন, ভারত রপ্তানি বন্ধ করার পর থেকে বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে অনুমতিপত্র (আইপি) সংগ্রহ করেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা এপর্যন্ত চীন, পাকিস্তান, মিয়ানমার, মিশর, তুরস্কের মতো দেশগুলো থেকে ৪৬৮টি আইপির বিপরীতে ২ লাখ ৩ হাজার ৭২১ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নেন। এছাড়া ৪৭৬টি ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেন ব্যবসায়ীরা। বিপরীতে পেঁয়াজ আসে ২৯ হাজার ৫৩০ টন।
উল্লেখ্য, গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধের ঘোষণা দিয়ে চিঠি ইস্যু করে চিঠিতে বলা হয়, কাটা টুকরা ও গুঁড়া সব ধরনের পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ এবং এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে। এর আগে গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর দেশের বাজারে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। সেই সময় দুই দফায় পেঁয়াজের দাম দ্বি-শতক পেরিয়ে যায়। পরবর্তীতে পেঁয়াজ আমদানিকারকরা মিয়ানমার, চীন, মিশর, পাকিস্তান, তুরস্কের মতো দেশগুলোতে পেঁয়াজ এনে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন।