উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আঘাত হানলে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। বন্দরের সব জাহাজকে বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। নদী থেকে বের করে দেয়া হয়েছে সব লাইটারেজ জাহাজ। বন্দরের হ্যান্ডলিং ইকুইপমেন্টগুলো প্যাকিং করে নিরাপদে রাখা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্কতা সংকেতের ওপর নির্ভর করে ধাপে ধাপে তৈরি করা হয়েছে এ্যাকশন প্ল্যান। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে নিজেদের তিন নম্বর এলার্ট জারি করেছে।
বন্দর সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আঘাত হানার আশঙ্কায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এনসিটি, সিসিটিসহ বন্দরের ভিতরে নোঙর করা ১৮টি জাহাজকে বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দিয়েছে। বন্দর চ্যানেল থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে কয়েকশ লাইটার জাহাজ।
গতকাল সোমবার সকাল আটটা থেকে বন্দরের জেটিতে বার্থিং এ থাকা জাহাজগুলো বহির্নোঙরে পাঠানো শুরু হয়। বেলা ১১টার মধ্যে বন্দরের বিভিন্ন জেটিতে নোঙরে থাকা কন্টেনার এবং সাধারণ পণ্যবাহী মিলে ১৮টি জাহাজকে বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দিয়ে পুরো বন্দর জাহাজশূন্য করা হয়।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক জানিয়েছেন, আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্কতা সংকেত অনুযায়ী বন্দরের নিজস্ব অ্যালার্ট-৩ জারি করা হয়েছে। এর ফলে জাহাজে খোলা পণ্য ও কন্টেনার হ্যান্ডলিং বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বন্দরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্টগুলোকে নিরাপদ রাখতে প্যাকিং করে রাখা হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, বোর্ড সদস্য এবং বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানেরা জরুরি সভা করে প্রয়োজনীয় এ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করেছেন। চালু করা হয়েছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম। বন্দর সচিব জানান, আমরা সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কতা সংকেত অনুসরণ করে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিচ্ছি।