বন্দরে জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের অনুকল্পে মহড়া

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২৪ অক্টোবর, ২০২৫ at ৬:৫২ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দরের সংরক্ষিত এলাকা ও সংলগ্ন নদী অঞ্চলে ডিটিএম অফিসের সামনে একটি যৌথ অগ্নি নির্বাপণ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠিত এই যৌথ মহড়ার সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান, কমোডর আহমেদ আমিন আব্দুল্লাহ। নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় পরিচালিত এ মহড়ায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ফায়ার ফাইটিং ইউনিট, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিএনএস ঈসা খানের ফায়ার টিম, বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের অগ্নি নির্বাপণ দল এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পোর্ট ইউনিট অংশ নিয়েছে। মহড়ার প্রথম পর্যায়ে খোলা আগুন থেকে রাসায়নিকবাহী একটি কন্টেনারে অগ্নিকাণ্ডের অনুকল্পে ফায়ার ইউনিটগুলো দ্রুত পানি ও ফোম প্রয়োগের মাধ্যমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দ্বিতীয় পর্যায়ে জেটিতে অবস্থানরত একটি জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের অনুকল্পে মহড়া পরিচালিত হয়। এতে অংশ নেয় পোর্ট ফায়ার সার্ভিস ইউনিট, বিএনএস ঈসা খানের ফায়ার টিম, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স পোর্ট ইউনিট এবং বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের অগ্নি নির্বাপণ সক্ষম টাগবোট। সকল ইউনিটের সমন্বিত প্রচেষ্টায় অল্প সময়ের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। মহড়ায় অফিসারইনচার্জ (ওআইসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক (নিরাপত্তাপ্রশাসন) ও পিএফএসও লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সৈয়দ সাজ্জাদুর রহমান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন উপপরিচালক (নিরাপত্তাঅপারেশন) মেজর আনিসউজজামান, বিএনএস ঈসা খানের ফায়ার টিমের পক্ষ থেকে লে. ইয়াসমিন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স পোর্ট ইউনিটের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোনেম বিল্লাহ এবং পোর্ট ফায়ার শাখার কর্মকর্তা খলিলুর রহমান।

মহড়া শেষে কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানান এবং বন্দর এলাকায় অগ্নি নিরাপত্তা, দ্রুত প্রতিক্রিয়া, ঝুঁকি মূল্যায়ন ও আন্তঃপ্রতিষ্ঠানিক সমন্বয় বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা বলেন, সামপ্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন শিল্প ও বাণিজ্যিক স্থাপনায় অগ্নিকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি আমাদের সতর্ক করছে। প্রস্তুতি, প্রশিক্ষণ ও পারস্পরিক সমন্বয়ই বড় বিপর্যয় রোধের একমাত্র উপায়। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, নিয়মিত এ ধরনের মহড়া আয়োজনের মাধ্যমে বন্দর এলাকার ফায়ার ইউনিটগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত সাড়া প্রদান এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা আরও উন্নত হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাটহাজারীতে তাফসীরুল কুরআন মাহফিল উপলক্ষে মতবিনিময় সভা
পরবর্তী নিবন্ধআইবিডব্লিউএফের ত্রৈমাসিক সভা