চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য আনা ৩৯৪ কোটি টাকার ২৪টি ইকুইপমেন্ট উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আজ। এর মধ্যে ১০০ টন ধারণক্ষমতার ক্রেনও রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের উৎপাদনশীলতা ও সক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে এসব ইকুইপমেন্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আজ রোববার এসব ইকুইপমেন্ট উদ্বোধন করবেন।
সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দরের ইকুইপমেন্ট বহরের বহু যন্ত্রপাতি অনেকদিনের পুরনো। প্রায় ১২৫টি ইকুইপমেন্টের এই বহরের অনেকগুলোর আয়ুষ্কাল ফুরিয়ে গেছে। বন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠানে ইকুইপমেন্টগুলো ঠিকভাবে চালানো না গেলে উৎপাদনশীলতা ব্যাহত হয়। একইসাথে সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তোলার সুযোগ তৈরি হয়।
বন্দরের কার্যক্রম বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ইকুইপমেন্টের চাহিদাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছিল। এই অবস্থায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি কী গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ মোট ১০৪টি ইকুইপমেন্ট কেনার বড় একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়। চারটি কী গ্যান্ট্রি ক্রেন ছাড়াও এই প্রকল্পের আওতায় ২টি মোবাইল ক্রেন (১০০ টন), ২টি মোবাইল ক্রেন (৫০ টন), ২টি মোবাইল ক্রেন (৩০ টন), ১২টি মোবাইল ক্রেন (২০ টন), ২৩টি মোবাইল ক্রেন (১০ টন), ১১টি রাবার টায়ার্ড গ্যান্ট্রি ক্রেন (আরটিজি), ২১টি ফোর–হাই স্ট্র্যাডেল ক্যারিয়ার, ৬টি টু–হাই স্ট্র্যাডেল ক্যারিয়ার, ৪টি রিচ স্টেকার (লোড), ২টি কন্টেনার মোভার, ৪টি ভেরিয়েবল রিচ ট্রাক (৪৫ টন), ২টি লগ হ্যান্ডলার–স্টেকার, ৪টি ফর্ক লিফট ট্রাক (২০ টন) ১টি ম্যাটেরিয়াল–মাল্টি হ্যান্ডলার (৩৫ টন), ২টি লো বেড ট্রেইলার, ২টি হেভি ট্রাক্টর পাওয়ার রয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র ৪টি কী গ্যান্ট্রি ক্রেন কেনার জন্য খরচ হয়েছে আড়াইশ কোটির বেশি টাকা। এর বাইরে ১০০ টন ধারণক্ষমতা এবং ৫০ টন ধারণক্ষমতার ক্রেনগুলোর দামও অনেক। এছাড়া আরটিজি, মোবাইল হারবার ক্রেন, রিচ স্ট্রেকারসহ সবগুলো ইকুইপমেন্ট দামি। ইতোমধ্যে ১ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের অধিকাংশ ইকুইপমেন্ট বন্দরের বহরে যুক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে ইতোপূর্বে সর্বোচ্চ ৮৪ টন ধারণক্ষমতার ক্রেন ছিল। এই প্রথম বন্দরে ১০০ টন ধারণক্ষমতার ক্রেন যুক্ত হচ্ছে।
আজ চারটি কী গ্যান্ট্রি ক্রেন, ৬টি রিচ স্টেকার, ২টি মোবাইল ক্রেন, ৪টি ভিআরপি, ২টি ৫০ টন ধারণক্ষমতার এবং দুটি ১০০ টন ধারণক্ষমতার ক্রেন এবং ২টি কন্টেনার মুভার রয়েছে। এই ২৪টি ক্রেন আমদানি করতে খরচ হয়েছে মোট ৩৯৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, ১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১০৪টি ইকুইপমেন্ট সংগ্রহের যে প্রকল্প এই ২৪টি ইকুইপমেন্ট তারই অংশবিশেষ। এগুলো বন্দরকে গতিশীল করবে। আমদানি–রপ্তানি খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।